গবেষণায় দেখা গেছে আজীবন নিজেকে সুস্থ রাখার সহজ উপায় এবং নিজের ফিটনেস ধরে রাখার একমাত্র গোপন চাবিকাঠি হল লাইফস্টাইল মেডিসিন।যা খুবই সহজে করা যায়।কেবল আপনি ডায়েট করে আপনার স্বাস্থ্যের কিছু পরিবর্তন আনুন।এবং আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করুন।সেই সাথে নিজেকে কিভাবে এসপ্রেস ফ্রী রাখবেন সেটা শিখুন।নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য রাতে ঠিকমত ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।আপনি আপনার সুস্বাস্থ্য কিভাবে ধরে রাখবেন সেটা জানা এবং তার সঠিক পদ্ধতি জানা আপনার খুবই জরুরী।
সুস্বাস্থ্য এবং শরীরকে ফিটনেস রাখতে নিজের আত্মার আবিষ্কার স্বরূপ শেখা যাত্রা হওয়া উচিত।আজকের আর্টিকেলটি হল শরীরকে ফিটনেস এবং সুস্বাস্থ্যবান রাখা যায়।এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য কতটা সচেতনতা থাকতে হবে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।যদি আপনি স্বাস্থ্য এবং কিডনির সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
নিজেকে সুস্থ রাখার সহজ উপায় হলো,প্রথমত শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।এর সঙ্গে সঙ্গে করতে হবে শরীরের ব্যায়াম।আমরা অনেকেই কাজকর্মের মধ্যে থাকি তারা সব সময় ব্যায়ামের দিকে খুব একটা নজর দিতে পারি না কিন্তু আমরা অনেকেই শরীর ঠিক রাখতে চাই এক্ষেত্রে আমাদেরকে খাবার এবং ক্যালরির দিকে নজর দিতে হবে এতে শরীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব
শরীরের ফিটনেস এবং নিজেকে সুস্থ রাখার সহজ উপায়
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
- সঠিকভাবে খাবার খেতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে।
- মেডিটেশন করতে হবে।
- নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
- শরীরের ওজন সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।
- ছোট ছোট লক্ষ্য গুলো তৈরি করতে হবে।
- রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে হবে।
- অ্যালকোহল পান করা যাবেনা।
- তামাক জাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকতে হবে।
- ঘরে রান্না করে খেতে হবে এবং বাহিরের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
- স্বাস্থ্যকর স্নাক্স খেতে হবে।
- নিজের দাঁতের দিকে নজর দিতে হবে।
- মাঝেমধ্যেই বাহিরে বের হতে হবে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা মানুষের সাথে মেলামেশা করুন।
- কৃতজ্ঞতা হতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করবেন কিভাবে
নিজেকে সুস্থ রাখার সহজ উপায় হলো নিয়মিত শরীরচর্চা করা।নিয়মিত শরীরচর্চাই পারে বার্ধক্য ঠেকাতে।নিয়মিত ব্যায়াম করলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।এবং শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।চরবিহীন পেশীগুলো উন্নত করে।কোলাস্টের অল কমা অ্যান্ড হার্টের ঘনত্ব বাড়ে।আপনি আপনার বাড়ির চারপাশের জগিং করতে পারেন।বাড়ির আশেপাশের বা প্রতিবেশীদের বাচ্চাদের সাথে পার্কে হাঁটুন।দড়ির লাফে অভ্যাসে পরিণত করুন এবং খেলাধুলা করুন।আপনি যদি হাই পিন করতে পছন্দ করেন তবে সেটিও করতে পারেন।
আপনার লক্ষ্যকে একটি ডাইরিতে পরিণত করুন যাতে আপনার কাজগুলো নিয়মিত করা হয়।আপনি আপনার মোড যদি ট্রাক করতে পারেন।তাহলে আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন যে,আপনার ব্যায়ামগুলো আপনাকে অনেক ইতিবাচক আনন্দ দিবে।ব্যায়াম করলে শরীরের এন্ডরফিন করে।যেটা আপনার শরীর এবং মন-মানসিকতাকে ভালো রাখবে।এই ধরনের ব্যায়াম শুধু আপনার ফিটনেসকে ভালো রাখবে না পাশাপাশি আপনার মন-মানসিকতাকেও অসুস্থতার ঝুঁকি কমাবে।
শরীরকে সুস্থ ও ফিটনেস রাখতে খাবার খাওয়ার নিয়ম
নিজেকে সুস্থ রাখার সহজ উপায় হলো আপনাকে অন্তত পাঁচ ধরনের সবজি প্রত্যেক দিনের তালিকা রাখতে হবে।সেগুলো আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী সেদ্ধ ভাজা বা কাঁচা যেরকম উপায়ে আপনার ভালো লাগে সেভাবেই খেতে পারবেন।ডায়েটের ক্ষেত্রে শাক সবজির পরিমাণ যদি বেশি হয় তাহলে সেটি ফুসফুস,ক্লোনস্থল,জরায়ু ,খাদ্যনালী,পাকস্থলী,অগ্নাশয়,মূত্রাশয় এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়।আপনি সঠিক মত খাবার খেলে আপনার শরীরের ওজন ঠিক থাকবে।লক্ষ্য ঠিক রাখবে এবং লালসা এড়াবে।
শরীরকে সুস্থ ও ফিটনেস রাখতে খাদ্য তালিকা থেকে ঠান্ডা পানীয়,ক্যান্ডি,চিপস জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।কারণ এই খাবারগুলো শরীরের পুষ্টি যোগায় না বরং প্রয়োজনের তুলনায় ও শরীরে বেশি ক্যালরি পৌঁছায়।চা এবং কফি থেকে আপনার শরীরে কতটা ক্যাফাইল গ্রহণ করছে সেটার দিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।দৈনিক দু কাপের বেশি চা এবং কফি খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। যার ফলে আপনার শরীরে অনিদ্রজনিত সমস্যা দেখা দিবে।
শরীরকে ফিটনেস রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া
নিজেকে সুস্থ রাখার সহজ উপায় হলো আপনকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে।এবং এটি অতি জরুরি।পানি খেলে শরীরের ডিডক্সিসফাই করে।হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,কেমোথেরাপির ফলাফলের সাহায্য করে।পেশির শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।এবং শরীরের তাপমাত্রা ঠিক মতো রাখে।শরীরের সুস্থতা ধরে রাখার জন্য আপনি কাজের সময় এবং ঘুমানোর সময় বোতলে পানি রাখতে পারেন।বোতলে করে পানি সাথে রাখলে এটি আপনাকে পানি খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিবে।শরীরকে ডায়েট করতে ডাবের পানি এবং ফলের রসও খেতে পারেন।
মেডিটেশন করতে হবে
মেডিটেশন বা ধ্যানের সুদূর প্রসারী এর দীর্ঘস্থায়ী উপকারিতা রয়েছে।ধ্যান করলে এটি মানসিক চাপ কমায় এবং আমাদেরকে আরো ভালো করে সংযোগ স্থাপন করতে দেয়।ধ্যানে আমাদের লক্ষ্য স্থির রাখে এবং শরীরের ব্যথা দূর করে।পর্যাপ্ত পরিমাণে অনুশীলন,মননশীলতা,মস্তিষ্কে ঠিক রাখে এবং নিজের প্রতি সদয় হওয়ার জন্য জীবনের অভ্যাসের পরিণত করে।
শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে
আপনি যদিও আপনার শরীরকে পুরোপুরি সুস্থ ভাবেন।সুস্থতা বোধ করলেও আপনার শরীর সুস্থ আছে তো?নিজের সময় মত অবশ্যই তা পরীক্ষা করে দেখুন।এটি সব ধরনের রোগের প্রথমিক চিকিৎসা অনুসারে এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।পাশাপাশি ডাক্তারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে।এবং আপনার স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমায়।আপনার শরীরকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখে।
এবং এটি হল এমন এক জিনিস যা আপনার ভালো ঘুমের সহায়তা করে।আপনার শরীরের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।নিয়মিত ধূমপান করলে শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।তাই নিয়মিত চিকিৎসা করালে আপনার শরীরের রোগ গুলো প্রাথমিকভাবে খুব সহজেই সনাক্ত করতে পারবেন।
শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখতে হবে
যদিও সকলের শরীরের ওজন এবং আকার এক রকমের নয় তবে আপনার শরীরের ওজন ঠিক আছে কিনা সেটি আপনাকে জানতে হবে।বডির সঠিক ওজন মাস ইনডেক্স 18.5 এবং 22.9 রেঞ্জের মধ্যে এবং এটি হল একটি BMI. অনেক উপায়ে শরীরের ওজন কমানো যায় তবে আপনার জন্য কোনটি পারফেক্ট তা আপনাকে জেনে নিতে হবে।প্রয়োজনে আপনি কোন ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিতে পারেন।এবং এ বিষয়ে যদি আপনার কোন সন্দেহ থাকে তবে আপনি ডাক্তারের যোগাযোগ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।পরামর্শ নিয়ে আপনি বিভিন্ন ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের ওজন কমাতে পারেন।এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ও কাজ করে আপনার শরীরের ওজন কমাতে পারবেন।
ছোট ছোট লক্ষ্য গুলো তৈরি করতে হবে
শরীরকে সুস্বাস্থ্যবান করা একদিনে সম্ভব নয়।তাই প্রথমে ছোট ছোট কিছু লক্ষ্য তৈরি করতে হবে এবং সেই লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করতে হবে।অপ্রয়োজনীয় অভ্যাসগুলোকে একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে পরিণত করুন।এক গ্লাস ঠান্ডা পানির চেয়ে দুই গ্লাস নরমাল জল পান করুন এই ছোট ছোট লক্ষ্য গুলোই একদিন আপনাকে বড় লক্ষের জয় করতে সাহায্য করবে।এই চ্যাট গুলো নিয়মিত মেনে চলতে আপনার বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের কারো থেকে সাহায্য নিতে পারেন।বা আপনার মোবাইল ফোনটি ও রিমাইন্ডার দেওয়ার জন্য আপনি কাজে লাগাতে পারেন।
রাতে ঠিকমত ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে
নিজেকে সুস্থ রাখার সহজ উপায় হলো রাতে ঠিকমত ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।রাতে ভালো ঘুম না হলে পুরো দিনটি খারাপ যায়।কাজে মনোযোগ থাকে না,তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে রাতে ঘুমানোর কোন বিকল্প নেই।প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো উচিত। প্রয়োজনের চেয়ে ঘুম কম হলে শরীরকে ক্লান্ত করে দেয়।বিশ্রামের আগে এক গ্লাস উষ্ণ দুধ খেলে রাতে আপনাকে ভালোভাবে ঘুমাতে সাহায্য করবে।খাবার খেয়েই ঘুমাতে যাওয়া ঠিক না।ঘুমের ঘর অন্ধকার রাখতে হবে।
এবং শট রেট জেনে বা পরিষ্কার করে ঘুমাতে হবে অপ্রয়োজনীয় চিন্তা এবং বিভ্রান্ত থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।রাতে ভালোভাবে ঘুম হওয়ার জন্য ঘুমানোর আগে হালকা ব্যায়াম করে নিতে পারেন।বিশেষ করে রাতে খাবার খাওয়ার আগে একপাক হেটে আসতে পারেন।তবে ঘুমানোর আগ মুহূর্তে বেশি ব্যায়াম করা ঠিক না সন্ধ্যার দিকে হালকা যোগব্যায়াম করতে পারেন এতে আপনার শরীর ও মন দুটোই ঝরঝরা থাকবে।
অ্যালকোহল বা তামাকজাতীয় কিছু পান করা যাবে না
অনেক বিজ্ঞানীদের মধ্যে জানা গেছে মধ্যপন কোন নিরাপদ জনিত খাবার নয়।মানুষ অ্যালকোহল পান করলে শরীরের রক্তচাপ ও রক্তের কলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে।এর ফলে মস্তিষ্কে যে রক্তনালী সরবরাহ করে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে এবং এতে ডেমেশিয়ার ক্ষতি তিনগুণ বেড়ে যায় অ্যালকোহল পান কারো শরীরের জন্য নিরাপদ কিনা সেটাও অনেকের মনে একটা প্রশ্ন।অ্যালকোহল যেকোনো মাত্রায় পান করা ফলে তাতে কিছু না কিছু শরীরের ঝুঁকি আছে।অ্যালকোহল খেলে শরীরের টক্সিন এর পরিমাণ বেড়ে যায়,ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ড চলাচলের গতি অনিয়মিত করে ফেলে,মস্তিষ্ককে ত্বরান্বিত করে এবং লিভার এটিকে বিপাক করার চেষ্টা করে ওভারড্রাই করে ফেলে।
তামাক জাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকুন
ধূমপান বা তামাক জাতীয় খাদ্য থেকে দূরে থাকা খুবই কঠিন ঠিক হই কিন্তু আপনি একবার ভেবে দেখেন আপনি কি নিজের থেকেও এগুলোকে বেশি ভালোবাসেন?নিশ্চয়ই সেটা নয় ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো ধূমপান।আপনি চাইলেই ধূমপান থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন।পুরুষদের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ৫০% কারণই হল ধূমপান।আপনি যদি এটাকে বাতিল করতে না পারেন তাহলে কাউন্সিলিং এর সাহায্য নিতে পারেন।
ধূমপান ছাড়ার 10 টি সহজ উপায় হলো
- ধূমপান ছাড়তে হলে আপনাকে আজই প্রতিজ্ঞা করতে হবে।পকেটে কিংবা টেবিলে রাখা সিগারেটের প্যাকেট ছুড়ে দূরে ফেলে দিন।
- একদিন ধূমপান না করে থাকুন।এবং ধূমপান না করে থাকার পরে পার্থক্য অনুভব করতে চেষ্টা করুন। এরপর আরও ২,৩ দিন ধূমপন থেকে নিজেকে বিরত রাখুন তাহলেই ধীরে ধীরে অভ্যাস গড়ে উঠবে।
- আপনার আশেপাশে যারা ধূমপান খায় না তাদেরকে অনুসরণ করুন এবং তাদের স্বার্থের কতটা পরিবর্তন এসেছে সেটি জানার চেষ্টা করুন।
- এবার আপনি হিসাব করে দেখুন তামাক বা সিগারেট আপনার প্রতি মাসে কত টাকা খরচ হয়।আপনি হিসাব করলে দেখবেন ধূমপান ছাড়া আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।সে টাকা আপনি জমিয়ে ভালো কাজে লাগান।
- আপনার ধূমপান করা বন্ধুদের সঙ্গে এড়িয়ে চলুন
- সিগারেট ছাড়ার জন্য আরও একটি কৌশল গ্রহণ করতে পারেন সেটি হল মুখে চুইংগাম কিংবা আদা রাখতে পারেন।
- যে সময়টিতে আপনার ধূমপান করতে ইচ্ছে হবে সে সময়টুকু আপনি রাস্তায় হাঁটুন।বা অন্য কাজে ব্যবহার করুন তাহলে দেখবেন ধূমপানের চাহিদা আসবেনা।
- যেকোনো জায়গায় ধূমপান কর্নারগুলো থেকে দূরে থাকুন।
- ধূমপান বিরোধী এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বই পড়তে পারেন।
- যদি আপনি নিরুপায় হয়ে পড়েন তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সহায়তা নেই।
চিকিৎসক অরুণ রতন বলেছেন, ধূমপান ছাড়ার জন্য কোন পরিস্থিতির দরকার হয় না।শুধুমাত্র আপনার একটি সিদ্ধান্তই যথেষ্ট।
নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ঘরেই রান্না করতে হবে বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
আজকাল প্রায় সকল মানুষেরই তাদের কর্ম ক্ষেত্রে ব্যস্ত।তাই তাদেরকে বাহিরের খাবার খেতে হয়।তবে সকলের চেষ্টা করা উচিত সিম্পল খাবার বাসায় রান্না করে খেতে।তাতে সময়ও বাজবে এবং শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা হবে।ছুটির দিনে একবার বসে একটি মেরু স্যার তৈরি করে নিন তাতে আপনারও অনেকটা সুবিধা হবে।এই পরিকল্পনাটি আপনাকে অতিরিক্ত ফ্যাট নুনযুক্ত এবং তিনি মুক্ত খাবার এ রাতে অনেক সাহায্য করবে এবং আপনাকে অনেক বেশি ফিটনেস রাখবে।
স্বাস্থ্যকর স্নাক্স খেতে হবে
আমরা অনেকেই জানি যে,স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্সফ্যাট দুটি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আপনার খাদ্য হিসেবে খাদ্য তালিকায় আপনি আন্টি ইনফ্লামেটরি ওমেগা তিন ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখতে।যা আপনার কার্ডিওভাসকুলার রোগের দুঃখী কমাবে।এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতারও দুটি কমাবে।ওমেগা তিন পেতে হলে আপনাকে খেতে হবে দুধ ডিম এবং পনির।
সুস্বাস্থ্য এবং ফিটনেস রাখতে নিজের দাঁতের দিকে নজর দিতে হবে
সুস্বাস্থ্যের জন্য আপনার মুখের স্বাস্থ্য ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।মুখে অবহেলা করতে নেই তাতে দাঁতের সমস্যা হয়।এবং মাটির রোগ হয় যা প্রদাহ এবং প্যাক তৈরি করে।পরীক্ষা করে দেখা গেছে ,দাদ যদি সুস্বাস্থ্যবান হয় তাহলে হৃদরোগ নিউমোনিয়া অস্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা অ্যালজাইমার এবং ইলেক্টাইল ডিসফাংশন এসব সমস্যাগুলোর ঝুঁকি কমায়।আপনাকে দেখতে হবে আপনার মুখের মধ্যে
কোন ধরনের ক্ষত বা অস্বাভাবিক চিহ্ন,আলসার আছে কিনা। যদি এগুলো থাকে সেক্ষেত্রে ডেন্টাল বা সাধারণ চিকিৎসকের কাছে তাড়াতাড়ি পরামর্শ নিতে হবে।আর যারা ধূমপান খায় তাদের দাঁতের নিয়মিত পরীক্ষা করানো উচিত।তামাক শুধু আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয় এটি হতে পারে আপনার দাঁত এবং মাডির জন্যও ক্ষতিকর।
মাঝেমধ্যেই বাহিরে বের হতে হবে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে
আপনি যদি ডেক্সেকাজ করে থাকেন তাহলে এখনি আপনার জীবন পরিবর্তন করার সময়।কারণ আপনার পেশীগুলোকে নাড়াচাড়া করতে এবং নমনীয় করতে একটানা কাজ না করে মাঝেমধ্যে একটু বিরত নিয়ে হাঁটাচলা করতে পারেন।এতে আপনার শরীর ভালো থাকবে।আপনি অফিসের কাজ শেষে কোন একটি জিমে ভর্তি হতে পারেন বাচ্চাদের সঙ্গে বা প্রিয়জনের সঙ্গে পার্কে বেড়াতে পারেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারেন এবং সহপাঠীদের সঙ্গে একসাথে খাবার খেতে পারেন।
নিজেকে সুস্থ রাখতে কৃতজ্ঞতা করতে হবে
সুস্থ থাকার অন্যতম উপায় হল কৃতজ্ঞতা বোধ গড়ে তোলা।এটি শরীর এবং মনের অনেক উন্নতি ঘটায়।সহানুভূতি বাড়িয়ে তোলে,এবং মানসিক শক্তি ও আত্মসম্মানের অনেক উন্নতি ঘটায়
এবং নতুন সম্পর্কের দরজা খুলে দেয়।একই সঙ্গে নিজের ইতিবাচক চিনতে ভাবনা ও বজায় রাখে।যেভাবে আপনাকে কৃতজ্ঞতা হতে হবে:
- আপনাকে ভাবতে হবে আমি প্রতিদিন সুস্থ এবং শক্তিশালী হয়ে উঠেছি।
- আমি আমার জীবনকে ভালবাসি।
- আমার সেরা জীবনটি আমার প্রাপ্য।
সুতরাং সকলকেই সঠিক পথে এগিয়ে যেতে হবে এবং সহজ সরল অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।অনেক বেশি বাস্তবতা এবং লক্ষ্য স্থির করতে হবে।যা আপনাকে বড় একটি পরিবর্তনের লক্ষ্যে তৈরি করে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
শরীরের সুস্থতা এবং ফিটনেস রাখতে আমরা পরিমাণ মতো পানি পান করবো।এবং শরীর ভালো থাকে এমন নিয়ম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।তামাক এবং ধূমপান খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে রাতে ঠিকমত ঘুমানো উচিত এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।
নিজেকে সুস্থ রাখার ১৫টি সহজ উপায় এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন।
Comments
Post a Comment