Skip to main content

সেফটিপিনের জন্ম বা আবির্ভাব হয় কিভাবে

সেফটিপিন আবিষ্কার হয়েছিল প্রায় ১৭২ বছর আগে।আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে,সেফটিপিন আবিষ্কার করেছিলেন কে?সেফটিপিনের জন্ম বা আবির্ভাব হয় কিভাবে?যদিও এটি সাধারণ জিনিস কিন্তু এর গুণের কোন শেষ নেই।অনেক ঘরোয়া কাজে লেগে থাকে।সেফটিপিন এর আবিষ্কারের গল্পটা ও অনেক চমকপ্রদ।পুরুষের কাছে সেফটিপিন যদিও অদরকারি।তবে একজন নারীর কাছে সেফটিপিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বস্তু।


আমরা হয়তো অনেকেই সেফটিপিন এর ব্যবহার জানি না।তবে তবে সেফটিপিন এর ব্যবহার সম্পর্কে নারীরাই বেশি জেনে থাকে।একটা সেফটিপিন এর গুরুত্ব কতটুকু তা অন্যরা কি করে বুঝবেআজকে আমরা আলোচনা করবো সেফটিপিনের জন্ম বা আবির্ভাব হয় কিভাবে,সেফটিপিন আবিষ্কার করেছিলেন কে,সেফটিপিন আবিষ্কারের মূল কারণ কি।সেফটিপিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকা

ওয়াল্টার হান্ট একজন মেকানিক ছিলেন।তার এক বন্ধু তার কাছে পনেরো ডলার পেতেন।মূলত এই ১৫ ডলার শোধ করার জন্যই সেফটিপিন এর উদ্ভাবন করেন।কমবেশি আমরা সবাই সেফটিপিনের সাথে পরিচিত।এই ছোট জিনিসটি কখনো কখনো আমাদের খুবই উপকারে আসে।যদিও সেফটিপিন দেখতে খুবই ছোট তবে এটি খুবই ধারালো ও তীক্ষ্ণ।

সেফটিপিন ব্যবহার করা যায় কি কি কাজে

সেফটিপিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বস্তু।পিন করার ক্ষেত্রে সেফটিপিন এর ব্যবহার অপরিসীম।প্রাচীনকাল থেকেই এটি কাপড়ের সাজ সজ্জার সহায়তা।এটি যেভাবে ব্যবহার করা যায়,বিভিন্ন দেশগুলোতে বোরকা ও হিজাব মার্জিত রাখতে সেফটিপিন ব্যবহার করা হয়।অনেকগুলো অংশ এক করার ক্ষেত্রে সেফটিপিন ব্যবহার করা হয়।শারীর সাথে ব্লাউজের আবদ্ধ তা করতে।ছেলোয়াড়ের সাথে ওড়না আটকানোর ক্ষেত্রে।সেফটিপিন এর আদি নাম ছিল ড্রেস পিন।

সেফটিপিন আবিষ্কার করেছিলেন কে

সেফটিপিন এর আবিষ্কার করেছিলেন ওয়াল্টার হান্ট।ওয়াল্টার হান্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন নিউইয়র্কের মার্টিন্সবার্গে শেরম্যান এবং রাচেল হান্টে।তিনি ১৭৯৬ সালের ২৯ শে জুলাই জন্মগ্রহণ করেন।তিনি তার বাবা মায়ের ১৩ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে প্রথম সন্তান ছিলেন।তিনি তার শৈশবকালে এক কক্ষের একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেছিলেন এবং ১৮১৭ সালে একটি হার্ড মিস্ত্রিতে ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।তার স্ত্রীর নাম ছিল পলি লকস এবং তাদের দম্পতি জীবনের চারটি সন্তান ছিল।ওয়াল্টার হার্ট প্রথম দিকে একটি মিলিং সম্প্রদায়ের একজন কৃষক হিসেবে কাজ করতেন।

একটি টেস্ট টেক্সটাইল মিল নিউইয়র্কের লুইস কান্টিং নামে একটি ছোট শহরে নোবিলের অর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেন।তার ছোট ভাইয়ের নাম ছিল হিমার হান্ট।হিমার হাট সহ ওয়াল্টার হান্টের পরিবার এবং বন্ধুরা বেশির ভাগই উল এবং তুলা কাটার ব্যবসা করত।যখন মিলটি ভালোভাবে কাজ করত না।তখন সমগ্র সম্প্রদায়ের উপর আরেকটা প্রভাব ফেলেতো।হান্টের ব্যতিক্রমী যান্ত্রিক ক্ষমতা ছিল যা তিনি প্রয়োজনের সাথে সাথেই ব্যবহার করেছিলেন।

সেফটিপিনের জন্ম বা আবির্ভাব হয় কিভাবে

সেফটিফিনের আবির্ভাব হয়েছিল আমেরিকাতে এবং ১৮৪৯ সালে।সেফটিপিন আবিষ্কার করেছিলেন একজন পুরুষ।তার ছোটখাটো জিনিস বানানোর দক্ষতা ছিল।মানে মাঝেমধ্যেই তিনি ঝোঁকের বসে নানা রকমের জিনিস বানিয়ে ফেলতো।
এখন যেই উদ্দেশ্যে সেপটিপিন ব্যবহার করা হয়।ওয়াল্টার হান্ট সেই উদ্দেশ্যে সেফটিপিন আবিষ্কার করেননি।তিনি সেফটিপিন আবিষ্কার করেছিলেন ধার শোধ করতে।যদিও কথাগুলো শুনতে খানিকটা ধাঁধার মতো লাগে।তবে এটি ছিল সেফটিপিন আবিষ্কারের মূল কারণ।এ পর্যন্ত পড়ে আমরা এখন জেনে গেছি সেফটিপিনের জন্ম বা আবির্ভাব হয় কিভাবে।

সেফটিপিন আবিষ্কারের মূল কারণ কি

ওয়াল্টার হান্ট ঝোঁকের ছলেও কোন কিছু বানিয়ে ফেলতেন।আর ওয়াল্টার হান্ট সেফটিপিন বানিয়েছিলেন ধার শোধরানোর জন্য।আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছি সেফটিপিনের জন্ম বা আবির্ভাব হয় কিভাবে?এখন জানবো সেফটিপিন আবিষ্কারের মূল কারণ।ওয়াল্টার তার বন্ধুর থেকে ১৫ ডলার ধার করেছিলেন।এমনিতেই ওয়ালটার হান্টের কিছুটা টাকা-পয়সা সমস্যা চলছিল।কিন্তু ধার নেয়া টাকার শোধের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও,কিছুতেই ধার নেয়া টাকা শোধ করতে পারছিলেন না।এদিকে সেই বন্ধু বারবার টাকা দেয়ার জন্য তাগাদা দিচ্ছিলো।কি হলো টাকাগুলো ফেরত দাও।

কি ব্যাপার এবার তো টাকাগুলো দাও।ওয়াল্টার একদিন ভাবছিলেন কিভাবে টাকা গুলো শোধ করা যায়।হাতে তো কিছুই নেই।নিজেকে নিজে প্রশ্ন করছিলেন,নতুন কিছু উদ্বোধনের চেষ্টা করবেন কি! যদি নতুন কিছু আবিষ্কার করে সেটি বিক্রি করে কিছু উপার্জন করা যায়।সেটাও তো মন্দ হয় না।এইসব পাঁচ সাত বার ভাবলেন এবং ভাবনার মধ্যেই হাতের মধ্যে একটা লম্বা তারের টুকরো নিলেন।তারের টুকরোটি আড়াআড়িভাবে দুইবার বাঁকালেন এবং মাথায় পরালেন একটা খাপ।যাতে গায়ের মধ্যে ফুঁটো হয়ে না যায়।অর্থাৎ পিন কিন্তু সেফ হয়ে গেল।ব্যাস,এবার তৈরি হয়ে গেল সেফটিপিন।

সেফটিপিন দিবস কত তারিখ

যদিও ওয়াল্টার হান্ট যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সেফটিপিন পেটেন্ট বানানোর প্রথম ব্যক্তির ছিল।তবে ইতিহাসবিদরা বলেছেন,এটি অনেক পুরাতন ধারণা,এটি সম্ভবত শত শত বছর আগের।ধারণা করা হয়েছে যে,ব্রিজ এবং রুমের মানুষেরা হাড়,হাতির দাঁত বা ধাতুর মত বিভিন্ন জিনিস অনুকরণ করে কিছু বানিয়েছিলেন।মনে করা হয় যে,সেফটিপিন এর অনুরূপ কিছু ইংল্যান্ডেও পাওয়া যেতো এবং এটাকে ’ইংলিশ পিন’ বলা হতো।

সেফটিপিনের জন্ম বা আবির্ভাব হয় কিভাবে?এই পর্বে আমরা সেফটিপিন এর আবির্ভাব হওয়ার তারিখটি জানতে পেরেছি।যাইহোক,সেফটিপিনের আধুনিক আবিষ্কারক হিসেবে ওয়াল্টার হান্টকেই বলা হয়।আর ওয়াল্টার হান্ট সেফটিপিন তৈরি করেছিলেন এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে।এ কারণে প্রতি বছর এপ্রিল মাসের ১০ তারিখেই সেপটিপিন দিবস পালন করা হয়।

সেফটিপিন বিক্রি করে কতটুকু সফল হয়েছিলেন

আমরা জেনেছি সেফটিপিনের জন্ম বা আবির্ভাব হয় কিভাবে এ সম্পর্কে।কিন্তু এখনো আমরা জানি না যে,সেফটিপিন এর আবিষ্কার করে আদৌ কি সফলতা অর্জন করতে পেরেছিলেন।চলুন এবার জানবো সেফটিপিন আবিষ্কার করে ওয়াল্টার হান্ট কতটুকু সফলতা পেয়েছিলেন।


ওয়াল্টার হান্ট সেফটিপিন আবিষ্কারের মাধ্যমে অনেক অর্থই উপার্জন করেছিলেন।তিনি সেফটিপিন বিক্রি করে পেমেন্ট পেয়েছিলেন ৪০০ ডলার।যা আজকের দিনের নিয়মে হিসাব করলে হবে ২০,০০০ ডলারেরও বেশি। শুধু একজন বন্ধুর ১৫ ডলার ঋণ শোধ করার বস্তুটি ওয়ালটন হান্টের রীতিমত অভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছিল।

লেখকের শেষ কথা

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।এতক্ষণে আমরা জানতে পেরেছি সেফটিপিন এর জন্ম বা আবির্ভাব হয়েছে কিভাবে।আরো জানতে পেরেছি যে,সেফটিপিন ব্যবহার করা হয় কোন ধরনের কাজে।যেমন:শরীরের সাথে ব্লাউজের আবদ্ধতায়,ওড়না ঠিক রাখতে।তাছাড়াও আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়।

সেফটিপিনের জন্ম বা আবির্ভাব হয় কিভাবে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।

Comments

Popular posts from this blog

সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন -২০২৪

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অনলাইনে টিকিট কাটা - ভ্রমণ করার সকল নিয়ম

মুক্তা চাষ কিভাবে করবেন এবং মুক্তা চাষের জন্য কোথা থেকে প্রশিক্ষণ নিবেন