Skip to main content

ডিম খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি

ডিম খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি?হাঁসের ডিম খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা কি? এ সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা।পৃথিবীতে যত ধরনের খাবার আছে তার মধ্যে পুষ্টিকর খাবার হল ডিম।ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপটোফেন।যা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।ক্রিস্টোফেন করে মনকে শান্ত এবং শরীরের হরমোনের ব্যাঘাত কমাতে সাহায্য করে।ডিমের শরীরের প্রোটিন যোগায়।পাশাপাশি মানুষের শরীরের ভিটামিনের চাহিদা মেটায়। বিভিন্ন দিক থেকে প্রোটিনোগাতে ডিমের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।



আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি এবং অনেক ধরনের খাবারেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।তেমনিভাবে ডিমেও অনেক প্রোটিন থাকে।আজকে আমরা আলোচনা করব,হাঁসের ডিম খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা কি? ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া এবং ডিম কাঁচা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।এবং ডিম খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা ও  অপকারিতা কি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকা

পুষ্টিকর এই খাবারের গুণাগুণ এর কথা কমবেশি আমরা সবাই জানি।ডিমকে আমরা সুপারফুট বলি।কারণ আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের অনেকখানি পূরণ করে ডিম।ডিম সবার কাছেই একটি পরিচিত এবং পুষ্টিকর খাবার।ডিম আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি যার উপকারিতা অনেক।আপনি যদি নিয়ম মেনে ডিম খান তবে অনেক উপকার পাবেন।আমরা যে সকল খাবার খাই তার মধ্যে ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরির।তাই আমাদের সকলের উচিত নিয়ম মেনে ডিম খাওয়া।

কাঁচা ডিম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা কি

কথাটি সত্য যে ডিম রান্না করলে ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়।কাঁচা ডিমে থাকে ভিটামিন বিটামিন ই এবং খনিজ উপাদান।জেএক্সানথিন,আরো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।তবে শরীরে যাদের প্রোটিনের অভাব আছে তাদের জন্য সিদ্ধ করা ডিম খাওয়াই ভালো।প্রোটিনের দিক থেকে একটি কাঁচা ডিম আমাদের দেহের হজম শক্তি বাড়ায় মাত্র ৩ গ্রাম।অন্যদিকে একটি রান্না করা ডিম আমাদের দেহের প্রোটিন হজম শক্তি বাড়ায় ৬ গ্রাম।কাঁচা ডিমে পাওয়া যাবে ভিটামিন বি .০৮৫।সলিল ১৪৬.৯ মিলিগ্রাম।রান্না করা ডিমে পাওয়া যাবে ভিটামিন বি 0.৭২মাইক্রগ্রাম এবং সলিল পাওয়া যাবে ১১৭ মিলিগ্রাম।

সকালে খালি পেটে ডিম খেলে কি হয় জেনে নিন

খালি পেটে ডিম খেলে প্রোটিন জনিত ঘাটতি দূর হয়।চুল পড়া কমে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি পায়।শরীরে অভ্যন্তরীতে ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খালি পেটে ডিম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী।খালি এবং ভরা পেটে দুইভাবে ডিম খাওয়া যায় এবং দুইভাবে এর উপকারিতা আছে।সিদ্ধ ডিমের যা যা থাকে তা হল ৭৮ ক্যালারি,৫ গ্রাম ফ্যাট,২ গ্রাম সম্পৃত্ত ফ্যাট, ১২৭ মিলিগ্রাম কোলেস্টরল, ৬২ মিলিগ্রাম থোডিয়াম,১গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম সুগার ও ৬ গ্রাম প্রোটিন।ভরা পেটে ডিম খেলে যে উপকারিতা পাবেন খালি পেটে ডিম খেলেও একই রকমের উপকারিতা এবং সিদ্ধ ও কাচা ডিমের প্রায় একই রকমের উপকারিতা আছে।

রাতে ডিম খাওয়ার উপকারিতা

রাতে ডিম খাওয়া ভালো যা শরীরের কোলেস্টেরল জমা করতে সহায়তা করে।এবং যা সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে তা ভিটামিন ডি তে পরিণত করতে শুরু করে।পাকস্থলীর শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এবং শরীরের ওজন কমাতে এটি দুই রকমের কাজ করে।প্রথমত,এটি পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে।দ্বিতীয়ত,এর প্রোটিন শরীরকে দীর্ঘ সময় ধরে পরিপূর্ণ রাখে।রাতে ডিম খেলে মানসিক চাপ কমে, ঘুমের উন্নতি ঘটায়,ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট বাড়ায়,ওজন কমাতে সাহায্য করে।

মুরগির ডিম খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা কি 

প্রোটিন পেতে সবচেয়ে ভালো দিক হলো ডিম।সাদা কিংবা বাদামি ডিম হোক,আপনি ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন।মুরগির ডিম বিভিন্ন কালারেরই হতে পারে।তার মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই বাদামি এবং সাদা ডিম দেখা যায়।আবার বিদেশী জাতীয় মুরগিগুলোর ডিম হয়ে থাকে একটু হালকা সবুজ বা নীল।পোল্ট্রি মুরগির ডিম গুলো হয়ে থাকে সাদা।পোল্ট্রি মুরগির লোমগুলও হয়ে থাকে সাদা রঙের।আবার অনেক ধরনের মুরগি আছে যাদের গায়ের লোম হয়ে থাকে বাদামী।



এদের ডিমের কালারও বাদামি রঙের হয়ে থাকে।বিশেষজ্ঞরা মনে করেন,সাদা ডিমের তুলনায় বাদামী রঙের ডিম গুলোতে প্রোটিন বেশি থাকে।সাদা ডিমের খোসা অনেকটাই পাতলা হয়ে থাকে বাদামী ডিমের তুলনায়।তাই সাদা ডিম গুলো সাধারন তো তাপমাত্রা এবং ফ্রিজে বেশিদিন রাখা যায় না।যদিও বাদামি রঙের ডিমের দাম বেশি তাও সাদা ডিমের তুলনায় বাদামী ডিম বেছে নেওয়া ভালো।ডিমের খোসার রং বাদামি বা সাদা হওয়াটা নির্ভর করে বিভিন্ন প্রজাতির মুরগির ওপর

হাঁসের ডিম খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা কি

পুষ্টিগত দিক থেকে যদি বলা হয় তবে হাঁসের ডিম এবং মুরগির ডিম এর উপকারিতা একই রকমের।তবে তুলনামূলক দিক থেকে হাঁসের ডিমের পুষ্টিগত মান একটু বেশি।হাসির ডিমে পাওয়া যায় ১৮৫ কিলো ক্যালরি এনার্জি।হাসির দিনে রয়েছে প্রোটিন।হাতের ডিমে থাকে ভিটামিন বি ১২ যা হৃদরোগ ও ক্যান্সার রোগ থেকে অনেক ঝুঁকি কমায়।এছাড়াও হাঁসের ডিমে থাকে ভিটামিন ’এ”।হাঁসের ডিমের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।এবং রক্ত এবং ত্বককে সতেজ রাখে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা কি

ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের হয়ে থাকে।তেমনি ভাবে কোয়েল পাখিও ডিম দিয়ে থাকে এবং কোয়েল পাখির ডিমেও অনেক উপকারিতা রয়েছে।বাজারের প্রায় সব জায়গাতেই কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করা হয়।যদিও কোয়েল পাখির ডিম আকারে ছোট তবে এর গুণ অনেক।চলুন এবার জেনে নেই কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে।কোয়েল পাখির ডিম মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।মানুষের দেহে বাড়ায় রক্তের হিমোগ্লোবিনের ক্ষমতা চোখের জ্যোতি ভালো রাখে। শরীরকে রাখে সুস্থ এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।

মাছের ডিম খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা কি

প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রতিটি জিনিসের আলাদা আলাদা করে উপকারিতা থাকে।সাধারণত ভাবে সব ধরনের ডিমেই রয়েছে অনেক উপকারিতা।তেমনিভাবে মাছের ডিমেও রয়েছে কিছু উপকারিতা।চলুন এবার জেনে নেই মাছের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে।মাছের ডিমের যে উপাদান গুলো থাকে তা হল মস্তিষ্ক ভালো রাখে, চোখের জ্যোতি ভালো রাখে, হিমোগ্লোবিন বাড়ায়, শরীরের হার্ট শক্ত করে এবং দাঁত কে রাখে মজবুত।শরীরের রক্ত জমাট বাধা থেকে বিরত রাখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় অনেক।

ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে

খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন আমরা অনেকেই ডিম খেতে পছন্দ করি এবং নাস্তা হিসেবে আমরা ডিম খেয়ে থাকি।পূর্বযুগের মানুষেরা ভাবতেন ডিম খেলে প্রেসার এবং রক্তচাপ বাড়ে।তাই তারা ডিম খেত না।কিন্তু তাদের এ ধারণাটি ছিল সম্পূর্ণ ভুল।ডিম খেলে প্রেসার বাড়ে না।বর্তমানে চিকিৎসকন রাগ গবেষণা করে দেখেছেন ডিমের সাদা অংশ খেলে রক্তচাপ বাড়ে না। বরংচ ডিমের সাদা অংশ খেলে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।যারা পুরো ডিম খেতে চায় না, তারা শুধু ডিমের সাদা অংশটুকু খেতে পারেন।ডিমের সাদা অংশে রয়েছে শর্করা এবং প্রোটিন।যা মানুষের রক্তের উচ্চচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।

ডিমের অপকারিতা কি

প্রতিটি খাবারের যেমন উপকারিতা থাকে তেমনি অপকারিতাও থাকে।ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রেও ডিমের ভালো এবং মন্দ দুটি দিকই আছে।অতিরিক্ত মাত্রায় ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।অতিরিক্ত মাত্রায় ডিম খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়,কোলেস্টেরলের মাত্ররাও বাড়ে।



এছাড়াও ডায়াবেটিস জনিত রোগীদের জন্য ডিমের কুসুম খাওয়া ক্ষতি।যদি আমরা তুলনামূলকভাবে বিবেচনা করি তবে দেখা যায় ডিমের তেমন কোন অপকারিতা নেই।যদি আমরা নিয়ম মেনে ডিম খাই তবে শরীরের জন্য অপকারের চেয়ে উপকার বেশি থাকে।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

পরিশেষে বলা যায় ডিম মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী।স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমরা প্রতিদিন ডিম খেতে পারি।যেহেতু আমরা সকলেই সচারাচার ডিম খেয়ে থাকি।তাই আমাদের সকলের উচিত ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা।

ডিম খেলে কি হয় এবং এর উপকারিতা ও  অপকারিতা কি? এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।যদি আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লেগে থাকে এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে ফেসবুক,মেসেঞ্জার,ইনস্টাগ্রাম আরো অনেক উপায়ে আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন।

Comments

Popular posts from this blog

সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন -২০২৪

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অনলাইনে টিকিট কাটা - ভ্রমণ করার সকল নিয়ম

মুক্তা চাষ কিভাবে করবেন এবং মুক্তা চাষের জন্য কোথা থেকে প্রশিক্ষণ নিবেন