Skip to main content

রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের এবং অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কি

প্রায় সবার কাছেই খেজুর অতি পরিচিত ফল।খালি পেটে রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের এবং অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কি?এ সম্পর্কে হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা।খেজুর গাছ মূলত মধ্যপ্রাচ্য,উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচুর হয়।মিশর ওমান তিউনিসিয়া,সুদান,পাকিস্তান,সৌদি আরব,সংযুক্ত আরব আমিরাত,ইরাক আলজেরিয়া ও ইরান এইসব দেশগুলোতে খেজুর উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়।মাহে রমজানের সময় ইফতারে আমরা সবাই মধ্যপ্রাচের খেজুর খােই।মধ্যপ্রাচ্যের খেজুর গুলো যেমনি মিষ্টি তেমন সুস্বাদু।

খেজুরের যেসব পুষ্টিগত গুণ রয়েছে তা পুরুষ মহিলা উভয়ের জন্যই উপকারী।আয়রনের ভরপুর থাকে খেজুর,হাড়,উচ্চ রক্তচাপ,কোষ্ঠ কাঠিন্যসহ একাধিক সমস্যা ঠেকাতে পারে খেজুর।আজকে আমরা আলোচনা করব রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের এবং অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কি?খেজুর খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন?পুরুষদের জন্য খেজুর খাওয়ার উপকারিতা?রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের এবং অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কি?এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকা

খেজুর একটি উপকারী ফল এবং সবারই পরিচিত একটি ফল।খেজুরের ইংরেজি শব্দ Date Fruit.খেজুর খেতে আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি।খেজুর আমাদের খাবারের চাহিদা পূরণ করে এবং আমাদের শরীরের পুষ্টি ও যোগায়।সকালে খালি পেটে কয়েকটি খেজুর খেলে সারা দিনের কার্য ক্ষমতার শক্তি সরবরাহ রাখে।খেজুর গাছ হলে তো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় জন্মে থাকে।খেজুর দুই ধরনের হতে পারে।শুকনো ও তাজা খেজুর।এই খাবারে একাধিক পরিমাণে খনির, আয়রন, ক্যালসিয়াম,চিনি,পটাশিয়াম জাতীয় পুষ্টি থাকার কারণে অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে।

বাংলাদেশের যেসব অঞ্চলে খেজুর গাছ বেশি প্রচলিত আছে

বাংলাদেশের মধ্যে খুলনা,বরিশাল,পটুয়াখালী,নোয়াখালী,ফরিদপুর,লালমাই পাহাড়ি এলাকা,বাওয়াল ও মধুপুর গড়ে এর গাছ বেশি দেখা যায় এবং সর্বত্রই কম বেশি জন্মায়।খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাব মতে জানা গেছে,বাংলাদেশে ৬৮.১০ বর্গমিটারে খেজুর গাছের জন্য।বাংলাদেশের খেজুর গাছের সংখ্যা ৬ কোটি ৬৭ লক্ষের বেশি।খেজুর গাছের মধ্যে স্ত্রী,পুরুষ উভয়ই হয়ে থাকে এবং শতকরা ৫০ বার স্ত্রীর গাছ পানি থাকে।

খেজুর গাছের চার থেকে আট বছরের মধ্যে ফল আসে।স্ত্রীর কাজগুলোতে ফল ও ফুল হয়।খেজুর প্রথমে সবুজ রংয়ের হয়ে থাকে এবং পাকলে খয়রি রংয়ের হয়।শীতকালের শেষের দিকে ফুল ধরে ও গ্রীষ্মকালে ফল পরিপক্ক হয়।একটি খেজুর গাছে ৭০ থেকে ১৫০ কেজি ফল হয়।এদেশের খেজুরগুলোতে তেমন স্বাদ নাই।তাই রস ও গুড়ের ব্যবহারই বেশি।শীতকালে সারাদেশে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।শীতের শুরু থেকে শেষ অব্দি পর্যন্তরস সংগ্রহ করা হয়।

দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি

মোটামুটি আমরা সবাই'ই খেজুর খেয়ে থাকি তবেআমাদের অনেকেরই অজানা রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের এবং অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কি?দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি?এই চ্যাপ্টার শেষে আমরা জানতে পারবো রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের এবং অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কি?সে সম্পর্কে।

দুধ ও খেজুর দুটোতেই রয়েছে আয়রনের উৎস।দুধের স্বাদ বাড়াতে দুধের ২/৩টি খেজুর মিশিয়ে নিলে আরো উপকারিতা পাওয়া যায়।তবে এই খাবারটি শুধু ৭ বাড়ানোর জন্যই নয়,এতে রয়েছে পুষ্টিগুনেও ভরপুর।কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়,একাধিক রোগব্যাধি দূর করতে পারে এই পানীয়।এছাড়াও দুধ আর খেজুর এর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়।সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হল:
  • রক্তশূন্যতা নিরাময়: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নির্দিষ্ট একটি সময়ে দুধ আর খেজুর একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
  • দুর্বলতা দূর হয়: গ্রীষ্মের সময়ে অল্প কিছু কাজ করলেই সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।শরীর চাঙ্গা রাখতে এই পানি ওটির বিকল্প নেই।অফিসে যাওয়ার তাড়াহুড়োর কারণে অনেকেই হয়তো নাস্তা না করেই বেরিয়ে পড়েন।এই সময়ে আপনি এক গ্লাস দুধের সাথে ২/৩ টা খেজুর মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন।এতে আপনার পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভরা থাকবে।
  • ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না:খেজুর ও দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট।যা আপনার ত্বককে বার্ধক্য জনিত লক্ষণ গুলি থেকে দূরে ঠেলে দেয়।চুলকানি ও প্রদাহ জনিত দূর করতেও এই পানিও পান করতে পারেন।ত্বকের রক্ত সঞ্চালনার মাত্রা বাড়াতে হালকা গরম দুধের সাথে ৩/৪টি খেজুর মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • হজমের সমস্যা দূর করে: গরমের সময়ে কোন খাবার খেলে তা সহজে হজম হয় না।অল্প কিছু খেলেও যেন পেট ভরা থাকে এবং গ্যাসের সমস্যা হয়।এই সমস্যা দূর করতে খেজুর এবং দুধ মিশ্রণ খেতে পারেন।পেটের সমস্যার জন্য এটি খুবই উপকারী। খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে,যা আপনার হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
  • গাঁটের ব্যথা নিরাময় হয়:দূরে থাকে ক্যালসিয়ামের উৎস।দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খেলে শরীরের হাট মজবুত হয়।গাঁটের ব্যথার সমস্যা থাকলে দুধের সাথে খেজুর মিশিয়ে এই পানীয় খেলে গাঁটের সমস্যা দূর হয়।
  • চোখের সমসায় দুধ ও খেজুর:চোখের সমস্যার জন্য ও পুষ্টিবিদরা দুধ ও খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।চোখের আঞ্জলি দূর করতে এই পানিও পান করতে পারেন।যারা একটানা কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে কাজ করেন তাদের চোখেও বেশ চাপ পড়ে।যার জন্য দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।এক্ষেত্রে আপনারা ও দুধের সাথে খেজুর মিশিয়ে খেতে পারেন।

রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের এবং অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কি

মধ্যপ্রাচ্যের এই ফলটি সকলের কাছেই বেশ পরিচিত।এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাইবা,আইরন,ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়াম।আরো রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ।মানুষের বয়স জখন ৩০ এর কোঠায় পৌঁছায়।তখন এসব খাদ্য উপাদান শরীরে অনেক প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে।বয়স ৩০ এর কোঠায় কৌশলে এ সময় মানুষের মস্তিষ্কের স্মৃতি দারুণ ক্ষমতা কমতে শুরু করে।

তাছাড়াও আমাদের কর্মশক্তি হ্রাস,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে,দৃষ্টিশক্তি কমায়,পেশির সমস্যা হয়, হৃদরোগ ও স্টকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়,হিমোগ্লোবিনের অসামঞ্জস্যতা হয়,হজমে সমস্যা হয়,ডায়াবেটিস,হাড় ক্ষয় এবং ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়।আর এসব সমস্যাগুলোর সমাধান হিসেবে একমাত্র দামি অস্ত্র হিসেবে হতে পারে খেজুর।আসুন এবার জেনে নেই এই ফলটি আমাদের শরীরে কিভাবে উপকার করে।

খেজুর খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

  1. ওজন হ্রাস করে:মাত্র কয়েকটি খেজুর খেলে কমে যায় আমাদের ক্ষুধার জ্বালা।এতে পাকস্থলীতে কম খাবার থাকে।এই কয়েকটি খেজুরেই কিন্তু শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করা ঘাটতি পূরণ করে।
  2. চ্যাম্প এনার্জি: খেজুর কে বলা হয় ইনস্ট্যান্ট এনার্জির ভান্ডার।মানে হল অল্পতেই প্রাণশক্তি।এটা শুধু প্রচলিত কথাই ই নয়,বরং এটি রীতিমতো বিজ্ঞানীদের গবেষণা ফলও।গবেষণার বলা হয়েছে কেউ যদি দুর্বল ভাব ক্লান্তি বোধ করে তাহলে যেন কয়েকটি খেজুর খেয়ে নেয়।এই ব্যাপারটি আপনিও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।মানুষের দিল যত গড়াতে থাকে ক্লান্ত দুর্বলতা ততই যেন ধীরে ধরে।এক্ষেত্র খেজুরি হতে পারে একটি চমৎকার প্রতিরোধক।খেজুরে আছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও শুক্র যে এর মত প্রাকৃতিক শর্করা।যা আমাদের শরীরের এনার্জির উৎস।প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আজ থেকে তিনটি খেজুর রেখে দেখুন।দেখবেন আপনি সকালবেলা যে প্রাণভর্তা নিয়ে বাহিরে বের হয়েছিলেন,সন্ধ্যায় যখন বাড়ি ফিরবেন তখনও সেই প্রাণবন্তাই অনুভব করবেন।
  3. আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়: খেজুরে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন।তাই খেজুর খেলে মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বৃদ্ধি রাখে,স্নায়ুর কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে,যারা নিয়মিত খেজুর খায় অন্যদের তুলনায় তাদের দক্ষতা ভালো থাকে।
  4. কর্মশক্তি বাড়ায়: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকার কারণে খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।আপনার বয়স বৃদ্ধি হওয়ার কারণে যদি জীবনে ভাব হয়। তাহলে আপনি প্রতিদিন ৩-৪ টি খেজুর খেতে পারেন।এতে আপনার শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর হবে।
  5. দৃষ্টি শক্তি প্রখর করে: খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন,যা আমাদের শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে।খেজুরে যেসব ভিটামিন গুলো রয়েছে তা হল: বি১,বি২,বি৩,বি৫।ছাড়াও খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ১ এবং কি সহ নানা ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়।খেজুর দিয়ে বলতে পারেন ভিটামিন পাওয়ার হাইস।খেজুরে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।তাই বড় হওয়ার পরে চোখের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রতিনিয়ত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
  6. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:যকৃত রোগ সংক্রমণের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।এছাড়া ও দূর করে গলা,সর্দি,আরও বিভিন্ন রকমের ঠান্ডা জনিত করুক।খেজুর খেলে অ্যালকোহলজনিতবিষক্রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।এছাড়াও খেজুর খাওয়ার নিয়মটি প্রতিদিনের অভ্যাসের পরিণত করতে পারলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  7. মজবুত বেশি তৈরি কর: আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় পেশির নানান ধরনের জটিলতা সমস্যায়।আর এই জটিলতা দূর করতে ভালো কাজ করে প্রোটিন জাতীয় খাবার।তাই খেজুর আমাদের পেশি ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং শরীরে প্রোটিন সরবরাহ করে।
  8. হৃদরোগ ও স্ট্রোকের দুটি কমায়: মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে হৃদরোগ ও স্টকের ঝুঁকি।এই ঝুঁকি কমানোর জন্য খেতে পারেন খেজুর।খেজুরে থাকে পটাশিয়াম যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি ও কমায়।বিভিন্ন ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে,খেজুর মানুষের শরীরের খারাপ ধরনের কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  9. হিমোগ্লোবিনের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখে: খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।যদি আপনার শরীরে রক্তশূন্যতা বা হিমোগ্লোবিনের কমতি দেখা দেয় তাহলে আপনি খেজুর খাওয়া শুরু করতে পারেন।এর ফলে শরীরে আয়রনের মাত্রা ঠিকমতো থাকে।হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ও স্বাভাবিক থাকে এবং রক্তের কোষ উৎপন্ন হয়।
  10. পরিপাকে সহায়তা করে: আমাদের বয়স ৩০ এর কোঠায় হয়ে গেলে হজম শক্তি ক্ষমতা কমতে থাকে।তাই এ সময় আপনি খেজুর খাওয়াকে অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে আপনার হজম শক্তি ক্ষমতা বাড়বে।কারণ, অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবীকে প্রতিরোধ করতে খেজুর বেশ সহায়তা করে।খেজুরে আছে এমন পুষ্টিকর গুণ যা আপনার খাদ্য হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
  11. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: খেজুর খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটে।একই সঙ্গে খেজুরের মিষ্টতা চিনির বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
  12. হার্টের সুরক্ষায় খেজুর: খেজুর ক্যালসিয়াম আর গঠনে সহায়তা করে।খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,যা শরীরের হাটকে মজবুত করে তুলে।তাছাড়াও মাড়ির স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে।
  13. ত্বকের যত্নে খেজুর: মানুষের বয়স বেড়ে গেলে বয়সের ছাপ প্রথমে ত্বকেই ধরা পড়ে।তাই ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে খেজুর কাজে লাগাতে পারেন।ত্বকের সুস্থতা দূর করতে নিয়মিত খেজুর খাওয়া অভ্যাসে পরিণত করতে পারেন।ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে খেজুর খেতে পারেন ।ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা থেকে খেজুর ত্বককে মুক্তি দেয়।ত্বকের বলি রেখা দূর করতেও নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।এছাড়া ত্বকের হ্যাকাসে বাঘ দূর করতে এবং হরমোনের সমস্যা কমাতে খেজুর অনেক কার্যকরী।

অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কি

শরীরের তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে খেজুরের বিকল্প নেই।আর রমজান মাসে ইফতারিতে খেজুর না খেলে যেন একদম চলেই না।মিষ্টি স্বাদের এই ফলে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার।তবে পুষ্টিবিদরা জানিয়ে, প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খেজুর খেলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।সব খাবারের ক্ষেত্রেই, কোন খাবার যতই পুষ্টিকর হোক না কেন তবে অতিরিক্ত খেলে সমস্যা হবেই।খেজুরের ক্ষেত্রেও একই রকমের।অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা,শ্বাসকষ্টের সমস্যা ওজন বেড়ে যাওয়ার নানা সমস্যা হয়।এবার জেনে নিবো অতিরিক্ত খেজুর  খাওয়ার অপকারিতা কি সে সম্পর্কে:
  • পেটে সমস্যা হয়: নানা ধরনের সমস্যা দূর করতে অনেকেই ড্রাই ফ্রুটস খান।খেজুর ড্রাই ফ্রুটস হিসাবে খুবই জনপ্রিয়।ড্রাই ফ্রুটসে যে খেজুরগুলো থাকে,তাতে সালফেট দিয়ে জড়িয়ে রাখা হয়।আর এই সালফাইট শরীরের মধ্যে গেলে পেটের সমস্যায় দেখা দেয়।পুষ্টিবিদদের মতে, প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খেজুর খেলে তা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়।এছাড়াও পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।কিন্তু অতিরিক্ত খেজুর খেলে হতে পারে তার বিপরীত কিছু।
  • ত্বকের সমস্যা হয়: খেজুর সংরক্ষণে রাখার জন্য সাফায়েত নামের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়।যার ফলে শরীরের ভিতরে এবং বাহিরে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।এর প্রভাবে ত্বকে র‌্যাশ,চুলকানি ও লাল হয়ে যাওয়াসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
  • ওজন বেড়ে যেতে পারে: ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করতে অনেকেই খেজুর খেয়ে থাকেন।কিন্তু একটি কথা মনে রাখতে হবে,খেজুরে ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ২.৮ গ্রাম।তাই পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত খেজুর খেলে তা শরীরের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ৩/৪ টিখেজুর খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
  • শ্বাসকষ্টের সমস্যা : অতিরিক্ত খেজুর খেলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।তাই শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীদের জন্য খেজুর খাওয়া নিষেধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
  • এলার্জি সমস্যা হয়: খেজুর খেলে এলার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।তাই যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের ক্ষেত্রেও খেজুর না খাওয়াই ভালো।
  • তাই চিকিৎসকরা প্রতিদিন খেজুর না খেয়ে একদিন পর একদিন খেজুর খেতে পরামর্শ দিয়েছেন।

পুরুষদের জন্য খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

বেশিরভাগ পুরুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় অত্যাধিক কলেজ টেরোলের কারণে হার্টের সমস্যা হয়।পুরুষদের হার্টের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানির মধ্যে কিছু খেজুর ভিজিয়ে রাখুন।এবং সকালে উঠে সেই পানি পান করুন। এতে আপনার হার্টের সমস্যা কমে যাবে।খেজুর খেলে হৃদপিন্ডের ক্ষমতা বাড়ে।শরীরের রক্ত প্রদানের ক্ষমতা সঞ্চার রাখে।শরীরের সোডিয়াম-পটাশিয়াম এর সমতা রক্ষা করে।খেজুরের মধ্যে এমন কিছু ভুল আছে,যা আমাদের খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে।

খালি পেটে রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা আছে।এই ফলে থাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির উপাদান।যা শরীরের অনেক উপকারে আসে।খেজুরে থাকে প্রকৃতিক মিষ্টি।যে কারণে এটি চিনির পরিবর্তে ও ব্যবহার করা যায়।নিয়মিত খেজুর খেলে তা স্বাস্থ্যের উন্নতি হিসেবে কাজ করে।তাছাড়াও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়।বিশেষজ্ঞরা বলেছেন,ভিজিয়ে রাখা খেজুর সকালে খালি পেটে খেলে শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।খালি পেটে রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের।চলুন এ সম্পর্কে জেনে নেই-
খেজুর ভিজিয়ে রাখলে তাতে থাকা হাই টিক এসিড দূর হয়।যা পুষ্টিগুণকে সহজে শোভন করে।ভিজিয়ে রাখা ফল খেলে তা সহজেই হজম হয়।এই অভ্যাসটি যদি আপনার আগে থেকেই না থাকে,তবে এই অভ্যাসটি আপনি শুরু করতে পারেন।ভিজিয়ে রাখা খেজুর খেলে তার উপকারিতা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।আপনি যদি ভিজিয়ে রাখা খেজুর খেতে চান এবং সেগুলো থেকে পুষ্টি ও শোষণ করতে চান।

তাহলে ঘুমোনোর আগে এক গ্লাস পানির মধ্যে কিছু খেজুর সারারাত (অন্তত ৯-১০ ঘন্টা) ভিজিয়ে রাখুন।তারপর সকালে উঠে খালি পেটে সেই খেজুর খান।এতে আপনি সারাদিন নিজেকে সাথে অনুভব করবেন।খেজুর খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে কাজ করে।যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্যও খেজুর একটি কার্যকরী খাবার।কারণ খেজুরি থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।এটি খুদা কমায় এবং

অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার সুযোগ করে দেয় না।তাই নিয়মিত ভেজানো খেজুর খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি সাহায্য করবে।খেজুর খেলে মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেয়।কারণ খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।ভেজানো খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যাও দূর হয়।তাই প্রতিদিন অন্তত ২-৩ টি বেদানো খেজুর খেতে পারেন।এতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

GAZI MAX IT এর পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের এবং অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কি? সে সম্পর্কে।এই আর্টিকেলটির মধ্য থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।তাই নানা ধরনের পুরো নিরাময় করার ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের।পাশাপাশি খেজুরে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটায়।তাই বয়স ত্রিশের ঘড়ে পড়লে অবশ্যই ৩-৪ টি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করবেন।

রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের এবং অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কি?এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।যদি রোজ খেজুর খেলে মুক্তি মিলবে যেসব রোগের এবং অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কি?এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লেগে থাকে,তবে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবী ও পরিচিতদের মাঝে নিচের 👇 যেকোনো শেয়ার অপশন থেকে,শেয়ার করে দিতে পারে।আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে 👇 জানিয়ে দিতে পারেন (ধন্যবাদ)।

Comments

Popular posts from this blog

সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন -২০২৪

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অনলাইনে টিকিট কাটা - ভ্রমণ করার সকল নিয়ম

মুক্তা চাষ কিভাবে করবেন এবং মুক্তা চাষের জন্য কোথা থেকে প্রশিক্ষণ নিবেন