Skip to main content

পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত - What to eat during period

পিরিয়ডের সময়টা সব নারীর জীবনেই আসে। এই সময়টা আসলেই অনেকের ক্ষেত্রে কষ্টদায়ক এবং বিরক্তিকর। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত? আপনিও হয়তো এই সম্পর্কে জানতে চান। তাই এই আর্টিকেলটি আপনার সামনে এসেছে। পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত? সে সম্পর্কে এখন আপনি জানতে পারবেন।

পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত - What to eat during period
আজকের আর্টিকেলটির মূল আলোচনার বিষয় হলো পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে। এছাড়াও আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে জানতে পারবেন পিরিয়ডের সময় ডায়েট করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? লিকার চা খেলে কি হয়? দুধ চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটির সাথেই থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

.

মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয়

পিরিয়ড হওয়ার সময় প্রায় সব নারীদের ক্ষেত্রেই পেটে ব্যথা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে এই ব্যথা অনেক বেশি হয় এবং অনেকের পিরিয়ডের সময় তেমন কোন ব্যথায় ভুগতে হয় না। পিরিয়ডের সময় তলপেট এবং পেলভিক এরিয়ায় বেশি ব্যথা হয়। এছাড়াও কিছু সমস্যা দেখা দেয়।মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয় তা হলো-
  • মেজাজ পরিবর্তন হওয়া
  • বমি বমি ভাব হওয়া
  • পেটে ব্যথা হওয়া
  • ক্লান্তি লাগা ইত্যাদি

পিরিয়ডের সময় কি চকলেট খাওয়া যাবে

সবার মনেই এই প্রশ্নটা জাগে,পিরিয়ডের সময় কি চকলেট খাওয়া যাবে? হ্যাঁ, পিরিয়ডের সময় চকলেট খাওয়া যাবে। তবে ডার্ক চকলেট খেতে হবে। এই ডাস চকলেট আপনার পিরিয়ডের সময় উপকার করতে পারে। ডার্ক চকলেট রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। যা পেশী শিথিল রাখে এবং ক্রাম্প কমাতে সহযোগিতা করে। ডার্ক চকলেটের মেজাজ ভালো রাখে এবং মস্তিষ্ক ইন্ডোর ফিন নিঃসরণ করে। ডার্ক চকলেট রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, যা আমাদের হার্ড এর জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও ডার্ক চকলেট রয়েছে ফ্লাভানল, যা নিউরো প্লাস্টিসিটি বাড়ায়। এর ফলে আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো সুস্থ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত What to eat during period

পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক নারীরা ঔষধ খায়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন পিরিয়ডের সময় ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্যথা দূর করা উত্তম। এ ছাড়াও কিছু খাবারের মাধ্যমে ও পিরিয়ডের ব্যথা কমানো যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত What to eat during period-
  • পিরিয়ডের ব্যথায় পানি খাওয়া: পিরিয়ডের সময় শরীরের রক্তপাত হওয়ার পাশাপাশি শরীর থেকে অনেক পানি নেমে যায়। তাই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে বেশি পরিমাণে পানি খেতে হবে।
  • পিরিয়ডের ব্যথা কমায় আনারসে: পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে জরায়ুর পেশীর সংকোচন প্রসারনের কারণে অনেক ব্যথা হয়। আর এই ব্যথা কমাতে পারে আনারস। আনারসের বসে থাকে ব্রোমেলেইন এনজাইম। এটি জরায়ুর পেশী কে রিলাক্স রাখে এবং ব্যথা কমাতে অনেক সাহায্য করে। আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নয়ন করে।
পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত - What to eat during period
  • পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে তরমুজ খেতে পারেন: তরমুজে থাকে লাইকোপেন এন্টিঅক্সিডেন্ট। যা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও তরমুজে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে।
  • পিরিয়ডের সময় গাঢ় সবুজ শাক খাওয়া ভালো: পালং শাক এবং সুইট চার্ডে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যা আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করবে এবং হারানো রক্ত পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
  • চরবিহীন প্রোটিন খাবার: পিরিয়ডের সময় চরবিহীন প্রোটিন খাবার খান। এতে আপনার শরীর ভালো থাকবে এবং ক্লান্তি দূর হবে। যেমন- চিকেন, মটরশুঁটি ও টোফু।
  • দই খেতে পারেন: দইয়ে থাকে প্রোবায়োটিক। যা মানুষের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফোলা ভাব কমায়।

👉    আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা কেন করতে হয়

  • শস্যদানা: ওটস ও ব্রাউন রাইস খেলে শক্তি বাড়ে। এছাড়াও মেজাজ এর পরিবর্তন ঘটায়।
  • পিরিয়ডের সময় কমলা খেতে পারেন: কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
  • বাদাম: বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। যা আপনার ক্র্যাম্পে উপশম করবে।
  • ব্রকলি: ব্রকলিতে রয়েছে ফাইবার ও ভিটামিন। যা আপনার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে এবং শরীরের ফোলা ভাব দূর করবে। তাই যাদের মনে প্রশ্ন জাগে পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত? তারা ব্রকলি খেতে পারেনG
  • কালো চকলেটের উপকারিতা: মেজাজ কমাতে এবং লালসা থেকে মুক্তি পেতে ডার্ক চকলেট খেতে পারেন।
  • হলুদ: হলুদের হয়েছে কারকিউমি। যা আমাদের শরীরের প্রদাহ কমাতে অনেক সাহায্য করে।
  • আদার উপকারিতা: আদা প্রদাহ কমাতে অনেক উপকারী। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আদা অনেক সাহায্য করে।
  • কলার উপকারিতা: কলায় রয়েছে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম। যা পিরিয়ডের সময় আপনার ব্যথা কমাতে ও শরীরের ফোলা ভাব দূর করতে অনেক সাহায্য করবে।

পিরিয়ডের সময় কি দুধ পান করা যায়

দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি। যা আপনার শরীরের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। কিন্তু দুগ্ধজাত খাবারগুলোতে হজমে সমস্যা করে। পিরিয়ডের সময় দুধ পান করা যাবে। তবে হলুদের সাথে মিশিয়ে দুধ পান করলে শরীরের প্রদাহ কমে এবং আমাদের ধমনীকে ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। তাছাড়াও হলুদের সাথে দুধ মিশিয়ে খেলে ইনসুলিন এর উন্নতি করে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি সকালে হলুদ দুধ পান করেন, তাহলে সারাদিন আপনাকে স্বস্তি দেবে। স্বাস্থ্যের সমস্যা দূর করার জন্য হলুদ দুধ খেতে পারেন। তবে এতে চিনি যোগ করে খাওয়া যাবেনা। অতএব যারা জানতে চান পিরিয়ডের সময় কি দুধ পান করা যায়? তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলটি পরে বুঝতে পারলেন পিরিয়ডের সময় দুধ পান করা যাবে। কিন্তু হলুদ দুধ পান করতে পারবেন।

পিরিয়ডের সময় ডায়েট করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত জেনে নিন

ডায়েট করার পাশাপাশি পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত? সে সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। অনেকেই আছে পিরিয়ডের সময় অনেক ধরনের সমস্যায় ভুগছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আপনি চাইলেই আপনাকে সুস্থ রাখতে পারবেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কিছু গোপন টিপস সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা আপনার পিরিয়ডের সময় আপনাকে সুস্থ রাখতে। পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন কারনেই ডায়েট করা প্রয়োজন হয়। জেনে নেই পিরিয়ডের সময় ডায়েট করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে-

পিরিয়ডের সময় ডায়েট করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত জেনে নিন
  • লক্ষণ গুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা: কিছু খাবার রয়েছে, যা পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমাতে এবং সুস্থতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। যে মন ক্রাম্প, শরীরের ফোলা ভাব, ক্লান্তি লাগা এবং মেজাজ পরিবর্তন করতে অনেক সাহায্য করে। তাই এই সময় সুষম খাদ্য গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে: পিরিয়ডের চক্র জুড়ে হরমোনের ওঠা নামা করে। আর কিছু উপাদান রয়েছে, যা হরমোন উৎপাদন এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই হরমোনের উঠানামা ঠিক রাখতে এমন কিছু খাদ্য খেতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে ওমেগা ৩, এসিড, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

👉    আরও পড়ুনঃ অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে

  • শক্তি বজায় রাখা: পিরিয়ডের সময় অনেকেরই শক্তি না পাওয়া এবং শরীরে ক্লান্তি লাগা দেখা দেয়। তাই এই সময়ে এমন কিছু সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত, যার মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং চর্বি।
  • রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ: সবার ক্ষেত্রেই পিরিওডের সময় রক্ত আয়রন ক্ষয় হয়ে যায়। এই সময়ে আইরন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। যেসব খাবার গুলোতে আয়রন রয়েছে তা হলো- থাক চর্বি হীন মাংস, শাক, মটরশুঁটি ইত্যাদি। এই খাবারগুলোতে রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।
  • মেজাজের উন্নতি এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা: পিরিয়ডের সময় মানসিক স্বাস্থ্য এবং নেতাদের উন্নতি ঘটাতে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যেমন- ফল, শাক-সবজি এবং চরবিহীন প্রোটিন খাবার।

পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত | আর্টিকেলটির শেষ কথা

আপনার মাসিকের ক্ষেত্রে যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে খাদ্যের দিকে মনোযোগী হতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যের মাধ্যমেই আপনি আপনার সামগ্রিক সুস্থতা বাড়াতে পারবেন। তাই পিরিয়ডের সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে উপরিউক্ত নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন।। আজকের আর্টিকেলটি থেকে আপনি জানতে পেরেছেন পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত? সে সম্পর্কে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে নতুন কিছু জানতে পেরে আপনার ভালো লেগেছে।

এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে হয়তো আপনি আপনার অজানা তথ্যগুলো খুঁজে পেয়েছেন। এ আর্টিকেলে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে ক্ষমার নজরে দেখবেন। পিরিয়ডের সময় কি খাওয়া উচিত? এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত বা তথ্য থাকলে কমেন্ট বক্সে 👇 জানিয়ে দিবেন।

Comments

Popular posts from this blog

সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন -২০২৪

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অনলাইনে টিকিট কাটা - ভ্রমণ করার সকল নিয়ম

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় -২০২৪

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে আপনার যদি কোনো ধারণা না থাকে, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজের চাহিদা সম্পর্কে এখানে খুব ভালোভাবে ধারণা দেওয়া আছে। তাই আপনি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। তাহলে আপনার সকল অজানা তথ্যগুলো জানতে পারবেন। আপনি যদি এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি সংক্ষেপে জেনে নিন? নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহজ কিছু কাজ? ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হবে কিভাবে- ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন। ভূমিকা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে আপনার ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা উচিত। ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে আয় করার কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হবে কিভাবে- ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ কি? এ বিষয়েও আপনার ধারণা থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ থাকার কারণে জনপ্রিয়তাও অনেক বেড়েই চলেছে। এর পাশাপাশি নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সিংদের সংখ্যাও বেড়ে চলে...