আপনি কি মা হতে চলেছেন, তাহলে আমার পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন। মা হওয়ার আনন্দ লাগার পাশাপাশি সবার মনে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন জেগেই থাকে। আর হ্যাঁ আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা কেন করতে হয়? এবং প্রেগনেন্সি টেস্টের পরীক্ষার ফলাফল কিভাবে জানবেন? এই আর্টিকেলটির লেখা অনুযায়ী কাজ করলে আপনি এবং আপনার শিশু সুস্থ থাকবেন বলে আমি আশা করি।
আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি জানতে পারবেন, গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা কেন করতে হয়? প্রেগনেন্সি টেস্টের পরীক্ষার ফলাফল কিভাবে জানবেন? প্রেগনেন্সি টেস্টের পরীক্ষার ফলাফল কিভাবে জানবেন? গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলো কি কি? গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় C লাইনের মানে কি? গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা কেন করতে হয়? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
.
গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলো কি কি
বেশিরভাগ মহিলাদের ক্ষেত্রেই গর্ভাবস্থায় প্রথমে কিছু লক্ষণ অনুভব করে। গর্ভাবস্থার লক্ষণ গুলোর মধ্যে কয়েকটি লক্ষণ তুলে ধরা হলো-
- অতীতের কোন একটি সময়কে মিস করা
- আগের তুলনায় বেশি প্রস্রাব করা
- শরীরে ক্লান্ত লাগা
- বমি হওয়া এবং বমি বমি ভাব হওয়ার
- স্তন ফুলে যাওয়া
আপনার মধ্যে যদি এ ধরনের কোন লক্ষণ দেখতে পান। তাহলে আপনি একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন বা বাড়িতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করে নিন।
পরীক্ষা না করেও কিভাবে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী
যদি আপনি গর্ভবতী হন তাহলে আপনার শরীরে অস্বাভাবিক কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবেন। পরীক্ষা না করেও কিভাবে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী? চলুন এ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
- পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া
- আগের তুলনায় ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
- স্তন ফুলে যাওয়া
- পিঠে ব্যথা হওয়া
- মাথাব্যথা হওয়া
গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা কেন করতে হয় জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা বলতে বাড়িতে পরীক্ষা বোঝানো হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই বাড়িতে বসে গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করা যায়। এটি খুব সহজ একটি পরীক্ষা। যা প্রসাবের নমুনার মাধ্যমে যাচাই করা যায়। গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করার দুটি নিয়ম রয়েছে- একটি হলো
- বাড়িতে বসে পরীক্ষা
- আর অন্যটি হলো রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে
গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আপনি বাড়িতেই গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে পারবেন। জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা কেন করতে হয়?-
একটি গর্ভস্থ পরীক্ষায়, গর্ভাবস্থা নিশ্চিত হওয়ার জন্য করাতে হয়। যখন কোন মহিলার মাসিক মিসিং যায়, তখন এই পরীক্ষা করাতে হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে এটি বাড়িতে বসেও করে। আবার কেউ হাসপাতালেও যেয়ে করে। দুই ক্ষেত্রে এর পরীক্ষা পদ্ধতিই হলো গর্ভাবস্থার হরমোন। এই সিজির সন্ধান করার পর যখন একটি ভ্রুন জড়ায়ে দেয় প্রবেশ করা হয় তখনই উৎপন্ন হয়।
👉 আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা ১মাস থেকে ৯মাস পর্যন্ত
যদি আপনার মাসিক না হয়, তবে আপনি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারবেন আপনি গর্ভবতী কিনা। বাড়িতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা প্রায় ৯৯% ই সঠিক। এছাড়াও আপনি এই পরীক্ষার গর্ভধারণের 10 দিনের মধ্যে করতে পারবেন। যদি আপনি গর্ব অবস্থায় তাড়াতাড়ি নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে নিজের প্রতি যত্ন নেয়া শুরু করতে পারবেন এবং নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারবেন প্রসবপূর্ণ যত্ন নিতে পারবেন।
গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করার জন্য কি করতে হবে
আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকে, তবে আপনার অবশ্যই জানা উচিত গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা কেন করতে হয়? বাড়িতে গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করার জন্য যেকোনো ফার্মেসির দোকান থেকে একটি কিট কিনে নিতে হবে। আর গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার জন্য আপনি তিনটি উপায়ে প্রস্রাব সংগ্রহ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করার জন্য কি করতে হবে-
- সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই প্রথম প্রসাব একটি কাব্য সংগ্রহ করুন এবং এর মধ্যে স্ট্রিপ্টটি ডুবান
- অথবা আপনি গ্রুপ দিয়েও স্ট্রিপ্টে প্রস্রাব ফেলতে পারেন
- প্রসব স্রোতে স্ট্রিপ্টটি রাখতে পারেন
তারপর আপনাকে ফলাফল দেখার জন্য ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় C লাইনের মানে কি
গর্ভাবস্থা পরীক্ষার স্ট্রিপে দুটি লাইন থাকে। একটি হলো C আর অন্যটি হলো T . C এর মানে হলো কন্ট্রোল লাইন অঞ্চল এবং T এর মানে হলো পরীক্ষার লাইন অঞ্চল। C লাইন হল একটি পরিষ্কার লাইন যা পরীক্ষাকে পজেটিভ করে। এই লাইনটি যদি অস্পষ্ট উঠে। তাহলে আপনার পরীক্ষায় ভুল হয়েছে এবং আবার পুনরায় পরীক্ষা করতে হবে। আপনি যদি C ও T লাইন দুটিই দেখতে পান। তাহলে পরীক্ষার রেজাল্ট পজেটিভ। মানে আপনি গর্ভবতী
গর্ভাবস্থা পরীক্ষার লাইন কখন গাঢ় হওয়া উচিত
গর্ভাবস্থা পরীক্ষার লাইন কখন গাঢ় হওয়া উচিত তা আমাদের অনেকেরই অজানাGগর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করার স্ট্রিপ মূলত HCG হরমোন সনাক্ত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। যদি আপনি গর্ভবতী হন এবং আপনার শরীরে যদি HCG তৈরি হয় তাহলে আপনার প্রস্তাব এবং রক্তের নমুনা কিছুটা ঘনত্ব হবে। আর এগুলো সময়ের সাথে সাথে উৎপাদন এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। তারপরে যদি পরীক্ষার করা হয় সে ক্ষেত্রে C এবং T লাইন স্ট্রিবে গাঢ় রেখা দেখা যায়।
গর্ভাবস্থা পরীক্ষা কতবার করতে পারবেন
গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা কেন করতে হয়? বাড়িতে বসে গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা ৯৯% সঠিক হলেও, এই পরীক্ষাতেই দুবারের বেশি করা উচিত নয়। আপনি যদি তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করেন, সেক্ষেত্রে আপনার রেজাল্ট পরিবর্তিত হতে পারে। প্রারারম্ভিক দিনগুলোতে কম সময়ে HCG মাত্রা সনাক্ত করা যায় না। কম সময়ের মধ্যে অনেকবার পরীক্ষা করা হলে HCG এর ফলাফল নেতিবাচক বা ইতিবাচক হতে পারে। তাই পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার এক সপ্তাহ পরে এই পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তখন এই পরীক্ষা দুবার করতে পারবেন।
প্রেগনেন্সি টেস্টের পরীক্ষার ফলাফল কিভাবে জানবেন
গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের কিট পাওয়া যায়। পরীক্ষার ফলাফল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন লাইন, বিন্দু, + (প্লাস) বা - (মাইনাস)। এই কীটের মাধ্যমে গর্ভবতী হয়েছে কিনা বা গর্ভবতী হয়নি, সেটা দেখা যাবে। সচরাচর বাজারের যেসব কিট গুলো পাওয়া যায়, সেই কীটের প্যাকেটের মধ্যে নির্দেশিকা বিস্তারিতভাবে লেখা থাকে, আপনি কিভাবে টেস্ট করবেন সে সম্পর্কে। এই কিট সবসময়ই পাওয়া যায়।
ইটের প্যাকেটের ভিতরে একটি লম্বা বক্স থাকে এবং তার উপরে একটি এস লেখাঘর থাকে। এই এস লেখা ঘরটির উপরে আপনার কয়েক ফোটা প্রস্রাব দিয়ে কিছু মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপরে খেয়াল রাখতে হবে সি ও টি লেখা অন্য দুইটি ঘরের দিকে। যদি সি এর ঘরে একটি দাঁত দেখতে পান, তাহলে বুঝবেন পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হয়েছে। আর যদি সিওটি লেখা দুইটি ঘরেই দাগ উঠে, তাহলে বুঝতে হবে ফলাফল পজেটিভ। মানে আপনি গর্ভবতী।
লেখকের শেষ কথা
GAZI MAX IT এর পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা কেন করতে হয়? সে সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটির মধ্যে থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। তা হলো- আপনি বাড়িতে বসেই গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করতে পারবেন। আশা করি ? এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর খুজে পেয়েছেন।
গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা কেন করতে হয়? এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা কেন করতে হয়? এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তবে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবী ও পরিচিতদের মাঝে নিচের 👇 যেকোনো শেয়ার অপশন থেকে শেয়ার করে দিতে পারেন। আজকের আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত বা তথ্য থাকলে কমেন্ট বক্সে 👇 জানিয়ে দিবেন (ধন্যবাদ)।
Comments
Post a Comment