সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে আপনার যদি কোন ধারণা না থাকে, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিতে পারবেন। সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার জন্য একদম সম্পূর্ণ বিষয়েই এখানে খুব ভালোভাবে ধারণা দেওয়া আছে। তাই আপনি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। তাহলে আপনার সকল অজানা তথ্যগুলো জানতে পারবেন।
আপনি যদি এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট এর সুবিধা সম্পর্কে? সুন্দরবনের কিছু হোটেল বা রিসোর্ট বুকিংয়ে যে ভুলগুলো করা উচিত নয়? হোটেল থেকে আপনি কি কি নিয়ে যেতে পারবেন না? সুন্দরবনের কিছু জনপ্রিয় হোটেলের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়ার আগে সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও ভ্রমণে যাওয়ার আগে সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট এর সুবিধা সম্পর্কে জানুন এবং তারপরে বুকিং করুন। বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের পর্যটক হিসেবে রয়েছে সুন্দরবন। এটি হলো পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। সুন্দরবনের ট্যুরে যাওয়ার জন্য দুই ধরনের ট্যুর প্যাকেজ রয়েছে। একটি হলো শিপে এবং অন্যটি হলো রিসোর্টে যাওয়া। যারা প্রকৃতি প্রেমী, তাদের জন্য সুন্দরবন একটি ভালো মানের জায়গা। এখানে গেলে বিভিন্ন ধরনের প্রকৃতিক বিষয়ের প্রতি ধারণা পাওয়া যায়।
হোটেল বা রিসোর্ট বুকিংয়ে যে ভুলগুলো করা উচিত নয়
এখনকার সময়ে হোটেল বুকিং করা খুবই সহজ একটি কাজ। তবে এই কাজটি করার ক্ষেত্রে অনেকেই ভুল করে থাকে। হোটেল বা রিসোর্ট বুকিংয়ে কিছু ভুল রয়েছে, যা আপনার একদমই করা উচিত নয়। হোটেল বুকিং করার ক্ষেত্রে মানুষ সবচেয়ে যেই ভুলটি বেশি করে থাকে, তা হল থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হোটেল বুকিং করে। আর এইসব ফেইক ওয়েবসাইট গুলোতে আগে পেমেন্ট চেয়ে থাকে। পরে এমন একটি হোটেল বুকিং করে দেয় যে, আপনি গিয়ে দেখবেন সেখানে হোটেলের রুম খালি নেই।
ভ্রমণকারীরা উন্নতমানের হোটেল বুক করতে চায় না। আপনি যদি হোটেলের পরিচিত মালিকের থেকে হোটেল অনুমোদন করতে না পারেন, তাহলে আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না। আর এর কারণ হলো অবৈধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কার্ডের মালিক ব্যাংকের মাধ্যমে চার্জ ব্যাক অনুরোধ করতে পারবে। আর ব্যাংক যদি দেখে কর্তৃপক্ষের মালিক ছাড়া অন্য কেউ এই কার্ডটি ব্যবহার করেছে, তাহলে হোটেলের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার দাবি করার অধিকার রয়েছে তাদের।
হোটেল থেকে আপনি কি কি নিয়ে যেতে পারবেন
ভ্রমনটা যেন আনন্দের হয়, তাই ভালো ধরনের হোটেল গুলোতে পর্যটকদের প্রয়োজনীয় সব জিনিসগুলো থাকে রুমের মধ্যেই। এখান থেকে আপনার অনেক কিছুই পছন্দ বা নজর কাড়ার মত হতে পারে। তবে চাইলেই আপনার সাথে সবকিছু নিয়ে যেতে পারবেন না। একটি ভালো মানের হোটেল থেকে আপনি কি কি নিয়ে যেতে পারবেন চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক -
- কাগজ ও কলম: হোটেলের বেড সাইড টেবিলে কাগজও কলম রাখা থাকে এবং এটি সাধারণত হোটেলর আন্ডারে থাকে। আপনি চাইলে এগুলো নিতে পারবেন।
- সাবান: প্রতিটি হোটেলেই শাওয়ার রুমে সাবান রয়েছে। আপনার ইচ্ছে হলে সাবান নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু সাবান নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহককে যদিও কোন জরিমানা করা হয় না। তবে এটি একটি নিরুৎসাহিত কাজ।
- কমপ্লিমেন্টারি যে কোন কিছু: অনেক সময় হোটেল গ্রাহকদেরকে হোটেল কর্তৃপক্ষ থেকেই অনেক কিছু দেয়া হয়। যেমন- ড্রাই ক্লিনিক ব্যাগ, সুগার প্যাক, ক্রিমার এবং কফি ইত্যাদি। আপনি চাইলে এই জিনিসগুলো আপনার সাথে নিয়ে যেতে পারবেন।
- শ্যাম্পু কন্ডিশনার: উন্নত মানের হোটেলগুলোতে সাবানের মত ছোট ছোট বোতলে শ্যাম্পু কন্ডিশনার থাকে। আপনি চাইলে তা নিয়ে যেতে পারবেন। ভালো মানের যেই হোটেলগুলো রয়েছে, তাদের শ্যাম্পু কন্ডিশনার নিজের ব্রান্ডেরই থাকে। তাই এগুলো যদি বাহিরে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তাদের ব্রান্ডেরই প্রচার হয়। সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার আগে অবশ্যই আপনাকে এই নিয়মগুলো সম্পর্কে জানা উচিত।
হোটেল থেকে আপনি কি কি নিয়ে যেতে পারবেন না
হোটেলে থাকে সুন্দর বাথ রোব, তোয়ালে এবং শ্যাম্পুসহ আরো নানান ধরনের জিনিসপত্র। এর মধ্যে কিছু কিছু জিনিস আছে যা আপনি নিয়ে যেতে পারবেন না। চলুন জেনে নেয়া যাক হোটেল থেকে আপনি কি কি নিয়ে যেতে পারবেন না সে সম্পর্কে -
- বিছানার চাদর ও তোয়ালে: বিছানার চাদর, তোয়ালে এগুলো আপনি নিয়ে যেতে পারবেন না। এছাড়াও বাথ বা হ্যান্ড টাওয়েল নিয়ে যেতে পারবেন না। কারণ এগুলো অনেক দামি জিনিস। একটি জরিপে প্রমাণ হয়েছে, হোটেল গ্রাহকদের প্রায় 68% লোকেরাই হোটেলের তাওয়াল বা বিছানার চাদর এবং এ ধরনের অনেক জিনিসপত্র চুরি করে। আর এজন্যই কিছু কিছু হোটেল কর্তৃপক্ষরা চুরি ঠেকানোর জন্য তোয়ালেতে ইলেকট্রনিক ট্যাগ লাগিয়ে রেখেছে।dhytjhytjh7rh
- হ্যাঙ্গার, গ্যাস, মগ: হ্যাঙ্গার, গ্যাস ও মগ এগুলো নিয়ে যেতে পারবেন না। তাহলে অতিরিক্ত জরিমানা হবে। এছাড়াও আপনি হতে পারেন হোটেল কর্তৃপক্ষদের কালো তালিকাভুক্ত। অনেক হোটেল রয়েছে যেখানে হোটেলের জিনিসপত্র যারা চুরি করে, তাদের জন্য আলাদা করে তালিকা তৈরি করে রাখে। পরবর্তীতে এই গ্রাহকদের হোটেলের সেবা নেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। আবার কখনো কখনো হোটেল কর্তৃপক্ষ এদেরকে পুলিশেও দেয়।
- ইলেকট্রনিক ডিভাইস: যেসব জিনিসপত্র গুলো বাহিরে দেওয়া নিষেধ, তা ভালো ভালো হোটেল গুলোতে জিনিসপত্রের গায়ে লেখা থাকে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ফটোগুলো যদি হারিয়ে যায়, তাহলে হোটেল বাড়ার সাথে এই পণ্যের দামও যোগ করা হয়।
- বাথ রোব: হোটেলে খুব সুন্দর করে গোসল করার পর আপনি যখন বাথ রোব করবেন। তখন আপনার মনে হতে পারে বাসায়ও এমন একটা আমার দরকার। তাই বলে আপনি হোটেল কর্তৃপক্ষদের বাথ রোব নিয়ে যাবেন, সেটা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। এবং এটা করাও যাবে না। তাহলে হোটেল কর্তৃপক্ষদের কাছে আপনাকে জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া এটি নিরুৎসাহিত করার একটি কাজ হবে।
সুন্দরবনের কিছু জনপ্রিয় হোটেলের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- বনলতা ইকো কটেজ
- বাদাবন ইকো কটেজ
- ইরাবতী ইকো রিসোর্ট
- বনবাস ইকো ভিলেজ
- গোল কানন ইকো রিসোর্ট
- ম্যানগ্রোভ হেভেন রিসোর্ট
- সুন্দরী ইকো রিসোর্ট
- বনভূমি ফরেস্ট রিসোর্ট
সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট এর সুবিধা সম্পর্কে জানুন -২০২৪
- বনলতা ইকো কটেজ: বনলতা ইকো কটেজটি রয়েছে সুন্দরবনের দাপটের কৈলাসগঞ্জের বুড়ির ডাবর বাজার এর কাছে। সহজে চেনার জন্য এড্রেস হল বন লাউডব ফরেস্ট ক্যাম্পের পাশে। যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসে তাদের জন্য এই জায়গাটি ভালো হবে। সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট এর সুবিধা বনলতা ইকো কটেজের রুম ভাড়া ও খরচ এর তালিকা দেখে নিন-
- ম্যানগ্রোভ হেভেন রিসোর্ট: সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে ম্যানগ্রোভ হেভেন রিসোর্ট এর সৌন্দর্য সম্পর্কে জেনে নেই। এটি দেশের সবচেয়ে সুন্দর এবং মনোরম একটি রিসোর্ট। এই রিসোর্টে প্রকৃতিতে ভরপুর। এতে রয়েছে ৩০ টি রুম এবং রিসোর্ট গুলির মধ্যে যেকোনো একটি রুমেরই ভ্রমণকারীর থাকবে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হিসেবে। ম্যানগ্রোভ হেভেন রিসোর্ট রুমের খরচ সম্পর্কে জেনে নেই-
- ইরাবতী ইকো রিসোর্ট: মংলা থেকে খুব কাছেই সুন্দরবনের পশ্চিম ঢাংমারীতে গোল পাতায় ঘেরা অঞ্চলের দিকে এই ইরাবতী ইকো রিসোর্টটি অবস্থিত। ঢাংমারীর খালটি ইরাবতী ডলফিনের অভয়ারণ্য হিসেবে সুন্দরবনের পরিচিত। আপনি যদি এই খালের পাড়ে বসে থাকেন, তাহলে আপনি লবণ পানি সহ্য করার ক্ষমতা সম্পন্ন ডলফিনকে দেখতে পাবেন। সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট এর সুবিধা ইরাবতী ইকো রিসোর্ট রুম ভাড়া করতে কত টাকা খরচ হবে জেনে নেই সে সম্পর্কে-
আরও পড়ুনঃ ভ্রমণে যাওয়ার জন্য কিভাবে ব্যাগ গুছাবেন
- ২ জন থাকার জনপ্রিয় একটি রুমের খরচ ৪ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হবে।
- ২ জন থাকার economic রুমের খরচ পড়বে ৩৮৫০ টাকা।
- ৩ জন থাকার জন্য একটি জনপ্রিয় রুমের খরচ ৩২০০ টাকা
- ৩ জন থাকার জন্য একটি প্রিমিয়াম রুমের খরচ ৩৫০০ টাকা
- ৪ জন থাকার জনপ্রিয় একটি রুমের খরচ পড়বে ২৬৫০ টাকা।
- ৪ জন থাকার জন্য একটি প্রিমিয়াম রুমের খরচ ৩০০০ টাকা।
- বনবিবি ফরেস্ট রিসোর্ট: এই রিসোর্টটি সুন্দরবনের বানিয়া শান্তা ইউনিয়নের ঢাংমারিতে অবস্থিত। বর্তমান সময়ে এই রিপোর্টটিতে রয়েছে দুইটি প্রিমিয়াম কাপল বিলা, দুইটি প্রিমিয়াম কটেজ এবং একটি ডুপ্লেক্স ফ্যামিলি ভিলা। এছাড়াও রয়েছে একটি রেস্টুরেন্ট এবং একটি লাইব্রেরি। এছাড়াও পেয়ে যাবেন একটি ডরমেটরি এবং একটি ফ্যামিলি ভিলা। যারা নিরিবিলি সময় কাটাতে পছন্দ করেন তাদের জন্য বনবিবি ফরেস্ট রিসোর্টটি উপযুক্ত স্থান। তার জন্য আপনি ঢাকা থেকে মংলা যাবেন এবং মংলা থেকে ৪৫ মিনিটের বোট জার্নি করে পৌঁছে যাবেন এই বনবিবি রিসোর্টে। চলুন জেনে নেই বনবিবি ফরেস্ট রিসোর্ট এর রুম ভাড়া কত -
- এক রাত প্রিমিয়াম কটেজ ভাড়া করার জন্য ১০ হাজার টাকা খরচ হবে।
- আপনি যদি এক রাত প্রিমিয়াম বিলা ভারা করতে চান, তাহলে আপনার খরচ হবে ১২০০০ টাকা।
- ২ রাত প্রিমিয়াম কটেজ ভাড়া করতে ১৭ হাজার টাকা লাগবে।
- ২ রাত প্রিমিয়াম ভিলা রুম ভাড়া করার জন্য ১৯ হাজার টাকা লাগবে।
- সুন্দরী ইকো রিসোর্ট: যে কোন হোটেল বুকিং করার আগে সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানা ভালো। এই রিসোর্টে মোট ৭ টি রুম রয়েছে। তার মধ্যে ছয়টি রয়েছে এসি রুম এবং এখানে দুইজন করে মোট ১২ জন থাকতে পারবে। আরো রয়েছে একটি নন এসি রুম। এখানে ৮ থেকে ১০ জন থাকতে পারবে। আর যদি শেয়ার করার মাধ্যমে থাকা হয়, তাহলে ২৫ থেকে ২৬ জন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গড়া এই রিসোর্ট। আপনি এখানে গেলে সরল সহজ মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন। এছাড়াও প্রকৃতিক পরিবেশের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা এবং গোলপাতার তৈরি ও কাঠ দিয়ে তৈরি ঘর দেখতে পাবেন। জেনে নেই সুন্দরী ইকো রিসোর্ট এর রুম ভাড়া ও খরচ কত টাকা -
- ২ জন থাকার জন্য জনপ্রিয় এসি রুম ভাড়া করতে আপনার ৫৫০০ টাকা খরচ হবে।
- ৩ জন থাকার জন্য জনপ্রিয় এসি রুম ভাড়া করতে ৪৫০০ টাকা খরচ হবে।
- ৪ জন থাকার প্রিমিয়াম এসি রুমের জন্য আপনার খরচ হবে ৪০০০ টাকা।
- ৬ থেকে ৭ জন থাকার জন্য প্রিমিয়াম নন এসি রুম ভাড়া করতে ২০০০ টাকা খরচ হবে।
- বনবাস ইকো ভিলেজ: বনবাস ইকো ভিলেজে পেয়ে যাবেন ৫ টি প্রিমিয়াম ক্যাটাগরি ভিলা। যার সবগুলো রুম থেকেই আপনি খুব কাছ থেকে দেখতে পাবেন প্রকৃতিকে। এছাড়াও রয়েছে একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রেস্তোরাঁ। বনবাস ইকো ভিলেজে যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে মংলা থেকে নৌকায় করে নদী পার হয়ে বানিয়া শান্তা বাজারে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে অটো নিয়ে অথবা মোটরসাইকেলের করে রিসোর্টে যেতে পারবেন। আপনি যদি প্রাইভেটকার নিয়েও যেতে চান, তাহলেও যেতে পারবেন। মংলা থেকে লাউডোর ফেরিঘাটের ফেরি পার হয়েও সরাসরি রিসোর্টে যেতে পারবেন। জেনে নেয়া যাক সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট এর সুবিধা বনবাস ইকো ভিলেজ রুম ভাড়া ও খরচ কত টাকা -
- এসি ভিলা ভাড়া করার জন্য আপনার খরচ হবে ৭৫০০ টাকা।
- ডুপ্লেক্স নন এসি ভিলা বাঁড়া করার জন্য আপনার খরচ লাগবে ৬০০০ টাকা।
- বাদাবন ইকো কটেজ: এটি বাগেরহাট জেলার মঙ্গলার দক্ষিণ চিলায় অবস্থিত। এই কটেজটিতে সুন্দরবনের কূলে ইকো সিস্টেমে তৈরি করা প্রকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর। এখানে গেলে আপনি হোটেলের বিশেষ করে সন্ধ্যার দিকে বসলে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি দেখতে পাবেন, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে হারিয়ে যাওয়া, ভয় ভয় অনুভুতি নিয়ে বনের মধ্যে ছোট খাল গুলোতে নৌকার ট্রিপ, ফল গাছ থেকে বিভিন্ন দেশীয় ফল, পুকুরে সাঁতার কাটা, বরশি, জাল দিয়ে পুকুরে মাছ ধরা, বিলে মাছ ধরা, গ্রাম্য কিছু হাট বাজার ও জেলে পল্লী এরকম সৌন্দর্য দেখতে পাবেন। মংলার ফেরিঘাট থেকে এই কটেজটি প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে। আপনি যদি আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখেন, তাহলে কটেজের লোকরা আপনাকে এসে রিসিভ করে নিবে। জেনে নেয়া যাক বাদাবন ইকো কটেজ রুম ভাড়া কত সে সম্পর্কে। -
- এক রাত থাকার জন্য আপনার খরচ হবে তিন হাজার পাঁচশত টাকা।
- গোল কানন ইকো রিসোর্ট: এই রিসোর্টটি পশ্চিম ধাংমারী মংলায় অবস্থিত। মংলা বন্দর থেকে এই রিসিটের দূরত্ব প্রায় আধা ঘন্টা। এটি পশুর নদীর তীরে অবস্থিত। চলুন জেনে নেয়া যাক গোল-কানন ইকো রিসোর্ট ভাড়া করতে কত খরচ লাগে সে সম্পর্কে-
- গোল কানন ইকো রিসোর্টে ১ রাতের প্যাকেজ হিসেবে ৩,০০০ টাকা খরচ হয়।
সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন -২০২৪
বাংলাদেশের যত ভ্রমণের জায়গা রয়েছে, তার মধ্যে একটি অন্যতম হলো সুন্দরবন। এক সময়ে সকল মানুষ এই সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য জাহাজ এবং ছোট ছোট টুরিস্ট বোটে ভ্রমণে যেতো। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এবং প্রয়োজনের জন্য সুন্দরবনকে খুব কাছ থেকে দেখার জন্য কিছু ইকো ফ্রেন্ডলি রিসোর্ট এবং কটেজ গড়ে উঠেছে। আর আজকের এই ব্লগে আপনি জানতে পারবেন সুন্দরবন হোটেল
বা রিসোর্স বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাকে রিসোর্স সম্পর্কে সকল তথ্য দিব এবং সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম ও সকল সুবিধা জানাবো। সময়ের সাথে সাথে সিজন অনুযায়ী এই রিসোর্ট গুলোর বাধা কম বেশি হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে -
লেখকের শেষ কথা | সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন -২০২৪
GAZI MAX IT এর পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রিয় পাঠকবৃন্দ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে ও সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট এর সুবিধা সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আর্টিকেলটির মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন।
এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে হয়তো আপনি আপনার অজানা তথ্যগুলো খুঁজে পেয়েছেন। এ আর্টিকেলটিতে যদি কোনো ভুল থাকে, তাহলে ক্ষমার নজরে দেখবেন। এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত বা তথ্য থাকলে কমেন্ট বক্সে 👇 জানিয়ে দিবেন।
Comments
Post a Comment