পোস্ট সূচিপত্রঃ
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে আপনার যদি কোনো ধারণা না থাকে, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজের চাহিদা সম্পর্কে এখানে খুব ভালোভাবে ধারণা দেওয়া আছে। তাই আপনি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। তাহলে আপনার সকল অজানা তথ্যগুলো জানতে পারবেন।
আপনি যদি এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি সংক্ষেপে জেনে নিন? নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহজ কিছু কাজ? ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হবে কিভাবে- ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে আপনার ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা উচিত। ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে আয় করার কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হবে কিভাবে- ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ কি? এ বিষয়েও আপনার ধারণা থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ থাকার কারণে জনপ্রিয়তাও অনেক বেড়েই চলেছে। এর পাশাপাশি নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সিংদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। তবে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা অনেকেই জানেনা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবে। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা না থাকায় যেকোন একটি কাজ দিয়েই নতুনরা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে এবং পরবর্তীতে হতাশ হয়ে যায়।
ফ্রিল্যান্সিং কি
সহজ ভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা। সাধারণত চাকরি আর ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য হলো, ডিউটি করার ক্ষেত্রে ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত করতে হয়। আর ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন লিমিট টাইমের প্রয়োজন হয় না। নিজের পছন্দমত কাজ করার স্বাধীনতা রয়েছে। আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হলো অনলাইন থেকে ইনকাম করার একটি টার্ম। সাধারণত অনলাইনে কাজ করার মাধ্যমে মানুষ যা ইনকাম করে, তাই হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ধারণাটি প্রাচীন কাল থেকেই সমাজে প্রচলিত আছে।
ফ্রিল্যান্সিং কি সে সম্পর্কে আমাদের মোটামুটি অনেকেরই ধারণা রয়েছে। চুক্তিভিত্তিক কাজ করার কারণে এই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় একমাত্র নিজের বস নিজেই হওয়া সম্ভব। অনলাইন কাজের উপর নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ক্লায়েন্টদের কাছে বিভিন্ন সার্ভিস বিক্রি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং পেশায় জড়িত থাকলে, দেশ-বিদেশের সকল ক্লাইন্ড, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করা যায়। যা আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং নতুন কিছু শিখতে অনেক সাহায্য করে।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হবে কিভাবে- ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ কি
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি তার একটি বিষয় অনুসরণ করে চলতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হবে কিভাবে- ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ কি? সে সম্পর্কে -
- পরিকল্পনা করুন: ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। আর এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে অবশ্যই অভিজ্ঞ হতে হবে। নয়তো আপনি সেই কাজগুলো করতে পারবেন না। তাই নিজেকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসার আগে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি আসলেই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে দেখতে চান। যারা সফল হয়েছে তারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসার আগে অবশ্যই পরিকল্পনা করে নিয়েছে। আপনাকে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, অনলাইনে কঠিন এবং সহজ দুই ধরনের কাজই রয়েছে। আপনি কোন কোন কাজ ১ ঘন্টায়ও শেষ করতে পারবেন। আবার কোন কাজ করতে ১৫ দিনও লেগে যাবে। তাই আপনি এমন কাজকে বাছাই করে নিন, যেই কাজগুলো ১০ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত থাকবে।
- কাজ শেখার আউটলাইন তৈরি করুন: আপনার পছন্দের টপিকগুলো নির্বাচন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। অনলাইনে পাওয়া যায় এমন কিছু প্রধান বিষয় সার্চ করে নিয়ে সেখান থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। আপনার যে বিষয় সম্পর্কে ধারণা নেই, সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনি যদি কাজ শিখার জন্য আউটলেট তৈরি করেন, তাহলে খুব সহজে কাজ শিখতে পারবেন।
- প্রজেক্ট তৈরি করা: পর্যাপ্ত সময় নিয়ে কাজ শেখার পর আপনার কাজ হবে কিছু বাস্তবধর্মী প্রোজেক্ট তৈরি করা। এর মানে হলো আপনি যে বিষয়ে কাজ শিখেছেন সেই কাজগুলো দিয়ে কিছু প্রজেক্ট তৈরি করা। এভাবে কাজ করলে আপনার স্কিল বৃদ্ধি পাবে।
- পোর্টফোলিও তৈরি করুন: কাজ শেখার পরে আপনার যখন প্রজেক্ট করা হবে, তখন পোর্টফোলিও তৈরি করার প্রয়োজন হয়। পোর্টফোলিও হল অভিজ্ঞতা। কাজের প্রতি আপনার যত বেশি পোর্টফোলিও বা অভিজ্ঞতা থাকবে, তত বেশি আপনি অনলাইনে কাজ পাবেন। আর অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের থেকে নিজেকে বেশি এগিয়ে নেয়ার জন্য নিজের ব্যক্তিগত ভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়
- মার্কেটপ্লেস অ্যাকাউন্ট তৈরি: ফ্রিল্যান্সিং শেখার পরে আপনার কাজ হবে মার্কেটপ্লেস একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে মার্কেটপ্লেস ফাইবার বা আপওয়ার্ক একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
- পেমেন্ট সিস্টেম তৈরি করা: পেমেন্ট সিস্টেম শুনতে আপনার যতটা সহজ মনে হয়, আসলেই পেমেন্ট একাউন্ট খোলা ততটাই সহজ। বাংলাদেশে পেপাল নেই। তাই সকল ফ্রিল্যান্সাররা পেওনিয়ার, ওয়াইজ, ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার মেথড ব্যবহার করে পেমেন্ট নেয়। মার্কেটপ্লেস এর কাজ করার মাধ্যমে আপনি যে টাকাগুলো পাবেন, তা উল্লেখিত পেমেন্ট মেথরের মাধ্যমে নিজের ব্যাংক একাউন্টে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে সর্বশেষ পূরণ করতে হবে। তা হলো ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার পরে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য এমন কোন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি? তা জানার আগে অবশ্যই আপনার এই বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহজ কিছু কাজ
আমরা অনেকেই জানিনা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হবে কিভাবে- ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ কি? নতুন ফ্রিল্যান্সাররা যদি কাজ না শিখে এবং প্রথম অবস্থাতে যদি ওয়েব ডিজাইন বা apps ডেভেলপমেন্ট করতে চায়, তাহলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আবার অনেকে প্রথম অবস্থাতে বুঝে না কিভাবে কাজ শুরু করবে। এ নিয়ে অনেক কনফিউজ থাকে। তাই তাদের জন্য আমি এখন কিছু সহজ কাজ সম্পর্কে ধারণা দিবো। চলুন জেনে নেয়া যাক নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহজ কিছু কাজ সম্পর্কে -
- ডাটা এন্ট্রির কাজ
- লিট জেনারেশন এর কাজ
- কপি এডিটরের কাজ
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারিং
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে টিকে থাকার মূল উপায় হলো ধৈর্য। কারণ যেকোনো ধরনের কাজের ক্ষেত্রেই আপনি যদি এক্সপার্ট হতে চান, তাহলে আপনাকে ধৈর্য ধরে টিকে থাকতে হবে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সব ধরনের কাজেরই অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই সুযোগ ও স্কিল দিয়ে আপনি যে কোন কাজ শুরু করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি সংক্ষেপে জেনে নিন-২০২৪
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। তার মধ্যে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যার চাহিদা অনেক বেশি। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি সংক্ষেপে সে সম্পর্কে জেনে নিন -
- ডাটা এন্ট্রির কাজ (Data entry)
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ (Digital marketing)
- ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপয়েন্ট এর কাজ (Web design and development)
- গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ (Graphic design)
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ (Social media manager work)
- কন্টেন্ট রাইটিং (Content writing)
- ট্রান্সক্রিপশন (Transcription)
- অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের কাজ (Apps development work)
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ (Software development)
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ (search engine optimization) (SEO)
- ডাটা এনালাইসিস এর কাজ (Data analysis)
- কাস্টমার সাপোর্ট (Customer support)
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ (Virtual assistant)
- গেম ডেভেলপমেন্ট এর কাজ (Game development)
- মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ (Mobile app development)
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় -২০২৪
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হবে কিভাবে- ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ কি? সে সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা জানতে পেরেছি। আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার উচিত কোন প্রতিষ্ঠান বা অন্যদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার মাধ্যমে কাজ শুরু করা। ফ্রিল্যান্সিং এমনই একটি সেক্টর, যেখানে আপনি একদম স্বাধীনতা এবং মুক্তভাবে কাজ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে -
- 1. গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ: বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি বড় ধরনের সেক্টর। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রতি দক্ষ হতে পারেন, তাহলে আপনি চাইলে বড় বড় কোম্পানিগুলোর সাথে ও চাকরি করার মাধ্যমে অনেক ভালো বেতনে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনকে নিজের পেশায় নিয়োজিত করে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। যেমন - Upwork, fiverr, Freelancer.com ইত্যাদি ওয়েবসাইট গুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক কাজ পাওয়া যায়। আপনি এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ারকে গড়ে তুলতে পারবেন। বর্তমান সময়ের প্রায় অনেক কোম্পানিগুলোতেই লোগো ডিজাইন, ব্রান্ড এর বিজ্ঞাপন বানানোর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের প্রয়োজন হয়। আর এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। গ্রাফিক ডিজাইনের জনপ্রিয় কাজ হলো - লোগো ডিজাইন করা, ফ্যাশন ডিজাইন করা, ওয়েবসাইট ডিজাইন করা, পোস্ট ডিজাইন করা, ব্যানার, বিজনেস কার্ড, বিজ্ঞাপন ডিজাইন, টি শার্ট ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, ভেক্টর আর্ট ডিজাইন এবং ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন।
আরও পড়ুনঃ নতুনদের জন্য আর্টিকেল লেখার সেরা গাইডলাইন
- 2. ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ: বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে একটি জনপ্রিয় কাজ হলো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ। অনলাইনে প্রতিটি কাজ করার ক্ষেত্রেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিকল্প করা যায় না। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে এবং বাংলাদেশ লোকাল মার্কেটেও মার্কেটিং এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এছাড়াও বর্তমান সময়ে ছোট বড় অনলাইন ব্যবসা বা অফলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রেও তাদের ব্যবসার প্রচার প্রচারণা করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক। ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে শুধুমাত্র একটি কাজকেই বুঝানো হয় না। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধরনের সেক্টর রয়েছে। আর এই সেক্টর গুলিতে আবার বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি রয়েছে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভালো ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- 3. ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপয়েন্ট এর কাজ: যদিও এটি একটি প্রোগ্রামিং সেক্টরের একটি অংশ। তবুও ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্ট একটি বড় জায়গা দখল করে আছে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে একটি অন্যতম কাজ হলো ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট। অনলাইনে যে কোন ধরনের ব্যবসাকে পরিচালনা করার জন্য এই কাজটি অত্যন্ত ভূমিকা রাখে। যার ফলে নিয়মিত অনেক পরিমাণে নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। তাই অন্যান্য কাজগুলোর চেয়ে এই কাজের চাহিদা একটু বেশিই।
- 4. কন্টেন্ট রাইটিং: কন্টেন রাইটিং এর কাজটিও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশ্বে কন্টেন্ট রাইটিং এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যারা লেখালেখি করতে পছন্দ করে এবং যাদের লেখালেখি বিষয়ে ভালো দক্ষতা রয়েছে, তারা এই পেশাকে বেছে নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে তাদের ক্যারিয়ার গড়ে।
- 5. ডাটা এন্ট্রির কাজ: ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে একটি সহজ কাজ হলো ডাটা এন্ট্রির কাজ। ডাটা এন্টির কাজটি সহজ হওয়ার কারণে নতুনরাও এই কাজ করতে পারে এবং এর কাজটি ফ্রিল্যান্সিংদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। যদিও ডাটা এন্টির কাজটি সহজ, তবে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। এছাড়াও ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে কোন প্রকার অ্যাপ ছাড়া আপনাকে টাইপিংয়ে দক্ষ হতে হবে।
- 6. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ: ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি? তা নিয়ে যদি আপনি কনফিউজে থাকেন, তাহলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার কাজটি করতে পারেন। বর্তমান সময়ের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজের চাহিদা অনেক রয়েছে এবং এই কাজটি বেশ জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেছে। যাদের সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনা করার জন্য পর্যাপ্ত সময় এবং ধারণা থাকে না। তারা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার রেখে কাজ করে। তাই একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে পেইড মার্কেটিং, ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট, নিয়মিত পোস্ট করা এবং কনটেন্ট রাইটিং সহ আরো বেশ কিছু কাজের সম্পর্কে এক্সপার্ট থাকতে হবে। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার প্রতি ঘন্টায় ২০ থেকে ২৫ ডলার পর্যন্ত চার্জ নিয়ে থাকে।
- 7. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ (SEO): আপনি যদি জানতে চান ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি। তাহলে আপনি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমেশনের কাজ করতে পারেন। অনলাইনে এই কাজটির জনপ্রিয়তা অনেক। তরুণ প্রজন্মদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় কাজ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ। যাকে আমরা সংক্ষেপে SEO বলে থাকি। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের এর মূল কাজ হলো ওয়েবসাইটকে গুগলের সার্চ তালিকায় নিয়ে আসা। আমরা প্রত্যেকেই চাই যে আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো গুগল সার্চ তালিকায় প্রথম দিকে থাকুক। আর এর জন্যই SEO করতে হয়।
- 8. গেম ডেভেলপমেন্ট এর কাজ: বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের এবং মোবাইল ব্যবহারকারীদের সংখ্যা খুবই দ্রুত বেড়েছে। তার সাথে বেড়েছে ভিডিও গেম এর চাহিদাও। কম্পিউটার বা মোবাইলে গেম খেলেনা এমন লোক কমই আছে। ছোট থেকে বড় সব ধরনের বয়সের মানুষই গেমে আসক্ত। গেম ডেভেলপমেন্টের চাহিদাও বেড়েছে অনেক। গেমের চাহিদা পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮০ বিলিয়ন ডলারের মোবাইল গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ২.৫ মিলিয়ন এক্টিভ গেম প্লেয়ার রয়েছে। আপনি যদি এই গেম ডেভেলপমেন্ট কে ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে এখনই আপনার সঠিক সময়। এই গেম ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার ক্যারিয়ারকে সুন্দর করতে পারবেন।
- 9. ট্রান্সক্রিপশন: যারা ভাষান্তর কাজে পারদর্শী, তারা এই কাজটি করতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি। তাই এই কাজের কর্মীর চাহিদাও অনেক বেশি প্রয়োজন। যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একদমই নতুন এবং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে চান, তারা ভাষান্তর কাজে আগে লক্ষ্য হতে পারেন। ইংরেজি, রুশ ভাষা, মান্দারিন ভাষা, ফ্রান্স ভাষা এবং আরবি ভাষা জানা থাকলে আপনি আয় করতে পারবেন। এই ভাষা গুলোর মধ্যে আপনি যত বেশি ভাষা জানবেন, তত বেশি আয় হবে।
- 10. অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের কাজ: অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এর কাজ একটি জনপ্রিয় কাজ এবং চাহিদা সম্পন্ন একটি সেক্টর। বড় বড় প্রতিষ্ঠানে তাদের ব্যবসাকে প্রচার করার জন্য নিজস্বভাবে অ্যাপস তৈরি করে থাকে। এজন্য সেই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অ্যাপস ডেভলপারদের হায়ার করে। অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখার জন্য একটু টাইম এর প্রয়োজন। অ্যাপস ডেভেলপার হওয়ার জন্য ৬ থেকে ৭ মাসের কোর্স করে নিয়ে দক্ষ developer হতে পারেন। আপনি যদি নিজেকে দক্ষ অ্যাপ ডেভলপার হিসেবে তৈরি করতে পারেন, তাহলে আপনার কাজের কোন অভাব থাকবে না এবং ইনকাম করার জন্য কোন টেনশনেরও প্রয়োজন হবে না।
- 11. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ: আপনি যদি প্রোগ্রামিং ভালোভাবে শিখে থাকেন তাহলে, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে পারবেন। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর সাহায্যে প্রতিনিয়তই সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। অনেক ধরনের কোম্পানি রয়েছে, যেখানে সফটওয়্যার ডেভলপার এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন অনেক পরিমাণে দিয়ে থাকে। আপনি যদি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করতে চান, তাহলে আপনাকে সি প্রোগ্রামিং, কোডিং, টেস্টিং, ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে।
- 12. কাস্টমার সাপোর্ট: ভালো ভালো কম্পানি গুলোতে কাস্টমার সাপোর্ট সেকশনে একজন এক্সপার্ট কাস্টমার সাপোর্টার লোক নিয়োগ দেয়। এর জন্য মার্কেটপ্লেসে আপনি কাস্টমার সাপোর্ট নিয়োগের অনেক বিজ্ঞাপন পেয়ে যাবেন। কাস্টমার সাপোর্টের জন্য পারফেক্ট জব পেতে হলে আপনার ইংরেজিতে কথা বলায় এক্সপার্ট এবং কমিউনিকেশন এর দক্ষতা থাকলে ভালো হবে।
- 13. মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ: মোবাইল অ্যাপ বা এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ কে এখন স্বর্ণযুগ বলা যেতে পারে। আপনি যদি প্রোগ্রামিং বিষয় শিখতে পারেন, তাহলে আপনি মোবাইলে ডেভলপমেন্টের কাজ করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে সবার কাছেই স্মার্টফোন রয়েছে। আর এই স্মার্টফোনকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করতে পারেন মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। ছোট বড় সব কোম্পানিতে এই অ্যাপের চাহিদা অনেক বেশি। আর মোবাইল অ্যাপের চাহিদা ও দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনি যদি প্রফেশনালি ভাবে এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপার হতে পারেন, তাহলে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হবে না।
- 14. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ: সাধারণত একজন এসিস্ট্যান্ট এর যে কাজ থাকে, একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টেরও একই রকমেরই কাজ। পার্থক্যটা শুধু হলো অনলাইন এবং অফলাইন। এছাড়াও ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে, কম্পিউটারের ব্যবহার জানতে হবে, ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
- 15. ডাটা এনালাইসিস এর কাজ: সব কাজগুলোর তুলনায় ডাটা এনালাইসিস খুবই সহজ একটি কাজ। ডাটা এনালাইসিস এর কাজ শিখার জন্য বেশি সময় দরকার হয় না। ডাটা এনালাইসিস এর বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় কাজ হলো ডাটা এন্টি ও লিড জেনারেশন এর কাজ। এর জন্য আপনি শুধু ওয়েব রিসার্চ ভালোভাবে করতে পারলেই এই কাজটি করতে পারবেন। তবে আপনি যদি অফিস কিংবা ব্যবসার কাজের জন্য এনালাইসিস করতে চান, তাহলে আপনাকে এমএস এক্সেল, এসপিএসএস, কিউ আই ইত্যাদি ধরনের সফটওয়্যার গুলোর কাজ আগে শিখতে হবে।
লেখকের শেষ কথা | ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় -২০২৪
GAZI MAX IT এর পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রিয় পাঠকবৃন্দ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ১৫টি উপায় -২০২৪ ও ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হবে কিভাবে- ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ কি? সে সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আর্টিকেলটির মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন।
এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে হয়তো আপনি আপনার অজানা তথ্যগুলো খুঁজে পেয়েছেন। এ আর্টিকেলটিতে যদি কোনো ভুল থাকে, তাহলে ক্ষমার নজরে দেখবেন। এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত বা তথ্য থাকলে কমেন্ট বক্সে 👇 জানিয়ে দিবেন।
Comments
Post a Comment