Skip to main content

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় - ১৬টি

পোস্ট সূচিপত্রঃ
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে যদি আপনার জানা না থাকে, তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। বিশ্বে অনেক মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। কিন্তু তারা ক্ষতিকারক দিক গুলো সম্পর্কে জানেনা। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় - ১৬টি
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন, যুবসমাজে মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার ও তার কুফল? ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা? মোবাইল ফোনের অন্যান্য ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই আমাদের এই আর্টিকেলটির সাথেই থাকুন এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা


বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন একটি সেরা প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম আবিষ্কারক। মোবাইল ফোন ছাড়া যেন মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে কোন কাজই চলে না। প্রযুক্তি যতো উন্নত হচ্ছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও তত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই মোবাইল ফোনের যেরকম রয়েছে উপকারিতা এবং ঠিক তেমনি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা দিক রয়েছে অনেক। তাই এই মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

যুবসমাজে মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার ও তার কুফল

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে শারীরিক ও মানসিক নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের। চলুন জেনে নেয়া যাক যুবসমাজে মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার ও তার কুফল সম্পর্কে-
  • অনেক সময় ধরে মাথা ঝুকিয়ে মোবাইল ফোনে গেমস খেললে, ভিডিও দেখলে অথবা কোন কাজ করলে সেক্ষেত্রে ঘাড় ব্যথা হয়ে যেতে পারে।
  • অনেক সময় ধরে ফোন টিপলে চোখের জ্যোতি কমে যেতে পারে। তাই স্কিনের ফ্রন্ট সাইজ বড় করে দেখবেন এবং ১৬ ইঞ্চি দূরে রেখে মোবাইল ফোন দেখবেন। কিছুক্ষণ পরপর ২০ সেকেন্ডের জন্য মোবাইলের স্ক্রিন থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখুন।
  • দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে কথা বলা এবং উচ্চ আওয়াজে গান শোনা ও কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখলে শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। এই কাজগুলো যদি আপনি দুই থেকে তিন ঘন্টা করেন। তাহলে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
  • শুক্রাণু কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে সব সময় মনের মধ্যে একটা ভয় তৈরি হয়। মোবাইল ফোন আছে কিনা, নাকি হারিয়ে গেছে এমন ভয় তৈরি হওয়ার রোগের নাম নোমোফোবিয়া অথবা নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে মাঝেমধ্যে মনে হয় হঠাৎ রিংটোন শুনতে পাওয়া। তবে বাস্তবে এমন কিছু হয় না।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে মানুষের তড়িত চিনতে শক্তি অনেক কমে যায়।
  • মোবাইলের একটি কুফল হলো বর্তমান সময়ের সব বয়সী মানুষের কাছেই প্রায় এই অভ্যাসটা রয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে খারাপ কিছুতে আসক্ত হয়ে, খারাপ পথে চলে যাচ্ছে অনেক মানুষ।

মোবাইল ফোনের অন্যান্য ক্ষতিকারক দিকগুলো

  • শিশু থেকে শুরু করে কিশোরদের মধ্যে পারিবারিক মূল্যবোধ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল ব্যবহার কারণে তারা মা-বাবার উপদেশ মেনে চলতে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার জন্য অতিরিক্ত সেলফি তোলার নামে একটি মানসিক রোগ সৃষ্টি হয়েছে।
  • মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সুবিধার্থে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবন এবং ফসল জমিতে যে টাওয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোতে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের জন্য মানব শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি গাছপালা, ফলমূল এবং ফসলের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হচ্ছে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে স্মার্টফোন ব্যবহার করার কারণে ঘুমের অনেক সমস্যা হচ্ছে।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ব্রেন, মাথা এবং গলায় টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • চিকিৎসকরা বলেছেন, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে স্মৃতিশক্তি এবং হার্টের উপর প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা থাকে।

মোবাইল ফোন কোন কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়

অনেক মোবাইল ফোন আছে যা স্মার্ট ফোন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। মোবাইল ফোনের ব্যবহারের রয়েছে অনেক ক্ষতিকারক দিক। তাই আমাদের সকলেরই উচিত মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে অবগত থাকা। ফোন দিয়ে কারো সাথে কথা বলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয় এই স্মার্ট ফোনকে। জেনে নেয়া যাক মোবাইল ফোন কোন কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় -
  • ইমেইল করার ক্ষেত্রে, এসএমএস এবং খুদেবার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয়।
  • ক্যালকুলেটর করার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়।
  • ইন্টারনেট বিষয়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করা হয়।
  • ছবি তোলা এবং ভিডিও করা ও ভিডিও দেখার ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোন ব্যবহার।
  • টাইম দেখার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করা হয়।
  • গুগলে যেকোনো তথ্য জানতে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করা হয়।
  • ট্রেনের টিকিট কাটতে বা বুকিং রাখতে ব্যবহার করা হয় মোবাইল ফোনের।
  • বিদ্যুৎ বিল/ গ্যাস বিল/ ওয়াইফাই বিল দেয়ার ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোনের ব্যবহার করা হয়।
  • টাকা আদান প্রদান করার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করা হয়।

মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

সকলের ক্ষেত্রেই বর্তমান সময়ের মোবাইল ফোন ছাড়া একটু কল্পনা করাও যেন খুব কঠিন একটি বিষয়। দিন বাড়ছে আর মানুষেরা মোবাইল ফোনের প্রতি অনেক আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। আর এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই বাড়ছে নানান ধরনের সমস্যা। নিম্নে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
  • বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ঘাটাঘাটি করার জন্য মোবাইল ফোনের দরকার হয়। এছাড়াও বন্ধু-বান্ধবদেরকে ইমেইল অথবা এসএমএস করার ক্ষেত্রে কোন তথ্য জানিয়ে দেয়ার জন্য মোবাইল ফোনের ব্যবহার করা হয়।
  • যেসব স্থানগুলোতে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না, সেই সব স্থানেও মোবাইল দিয়ে কল এবং এসএমএস করার মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা যায়।
  • আগের দিনে কোথাও বের হলে ছবি তোলার ক্ষেত্রে ক্যামেরা নিয়ে বের হওয়া লাগতো। কিন্তু এখনকার সময়ে স্মার্টফোন গুলো দিয়েই ছবি ক্যাপচার করা যায়। আরো অনেকেই আছে যারা শুধু মোবাইল ক্যামেরা দিয়েই খুব সুন্দর ছবি ক্যাপচার করে অনেক টাকা আয় করেন।
  • বিনোদন পাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে অনেকেই ভিডিও দেখে। এছাড়াও মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি চাইলে ইউটিউব এবং ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় - ১৬টি

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন সবারই নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। তাই অনেকেই এই মুঠোফোন ছাড়া একদমই থাকতে পারে না। নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য মুঠো ফোনের আসক্তি কাটিয়ে ওঠা খুবই জরুরী। আমরা কিছু নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে এই মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে পারব। এতে আপনার মোবাইল ফোনের আসক্তি ও দূর হবে এবং বিষন্নতার মত মানসিক. স্বাস্থ্য সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে। চলুন জেনে নেয়া যাক মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে -
  1. মোবাইল ফোনের পর্দার গ্রেস্কেল: আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অপারেটিং সিস্টেমে গ্রেস্কেল মোড অন করে রাখতে পারেন। মোবাইল ফোনের স্কিন কালো সাদা থাকলে এতে আপনার আকর্ষণ কমে যাবে। ফলে মোবাইল ফোন কম ব্যবহার করা হবে।
  2. এলার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন: মোবাইল ফোনটি যদি আপনি অ্যালার্মের কাজে ব্যবহার করেন, তাহলে অপ্রয়োজনীয় মেসেঞ্জার বা মেইল বক্স চেক করার সম্ভাবনা থাকবে না।
  3. ফোনের রাবার ব্যান্ড রাখুন: ফোনের ব্যবহার কমাতে হলে একটি রাবার ব্যান্ড জড়িয়ে নিতে পারেন। যাতে মোবাইল ব্যবহার করতে গেলে মোবাইলে থাকা রাবার ব্যান্ডের উপর হাত পড়ে এবং মোবাইল ব্যবহার কমানোর কথা মনে পড়বে।
  4. প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণ করা: আপনি যদি মনে করেন ফোন ব্যবহার করার জন্য নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখছেন, এটা ভেবে মানুষ আপনাকে কিভাবে দেখবে। সেক্ষেত্রে আপনি অন্য মানুষজন এবং আপনার বন্ধু বান্ধবকে সরাসরি বলে দিন। আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার কমানোর জন্য চেষ্টা করতেছেন বলেই আপনার রেসপন্স করতে সময় লাগছে।
  5. মুঠোফোন থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন: মুঠোফোনের যদি খুব প্রয়োজন না হয় তাহলে আপনার দৃষ্টি সীমানা চেয়ে অনেক দূরে রাখুন। প্রয়োজন হলে মোবাইলটি সাইলেন্ট করে অনেক দূরে রাখতে পারেন অথবা সাইলেন্ট করে পর্দার দিক নিচে রেখে দিতে পারেন।
  6. কঠিন লক করার পদ্ধতি: মোবাইল ফোনটি কঠিন ভাবে লক করুন। যাতে এই লকটি খুলতে আপনার বিরক্ত লাগে। বারবার খুলতে বিরক্ত লাগলে তখন ফোন বেশি ব্যবহার করতে মন চাইবে না।
  7. ফোনের উজ্জ্বলতা: ফোনের স্কিন থেকে যতটা সম্ভব আলো কমিয়ে রাখুন। এতে আপনার ফোনের নীল আলো কমে যাবে এবং আপনার চোখে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না।
  8. ফোনের কাজ কম্পিউটারে করার চেষ্টা করুন: মোবাইল ফোনের যে সকল কাজগুলো আপনি কম্পিউটারে করতে পারেন, সে কাজগুলো ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে করে নিবেন। এতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে আপনার কিছুটা আসক্তি কমবে।
  9. মোবাইল ফোন রেখে বাইরে যাওয়া: মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উপায় হল মোবাইল ফোন রেখে বাইরে যাওয়া। যখন আপনি বাহিরে বের হবেন তখন মোবাইল ফোনটি বাসায় রেখে যাবেন। যেমন আপনি যখন কেনাকাটা করেন, ঘুরতে বের হন এবং ব্যায়াম করতে বের হন তখন মোবাইল ফোন রেখে যাবেন। এতে আপনার ধীরে ধীরে মোবাইল চালানোর আকর্ষণ কমে যাবে।
  10. কম অ্যাপস এর ব্যবহার: যতটা সম্ভব হয় কম অ্যাপস এর ব্যবহার করুন। কম অ্যাপস ব্যবহার করতে মোবাইল ফোন থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়া অন্য অ্যাপসগুলো আনইন্সটল করে দিন।
  11. নিজেকে টার্গেট করুন: আপনি যে সময়গুলোতে মোবাইল টিপেন, সেই সময় গুলো আপনার অন্য কাজে ব্যবহার করুন। যেমন আপনি কোন একটি সময় বা কোন একটি নির্দিষ্ট দিন, শনিবার কিংবা রবিবার এমন একটি দিনকে টার্গেট করুন। এই দিনটিতে আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না এবং এই দিনটি আপনার অন্য একটি ভালো কাজে লাগাবেন। তা হতে পারে ব্যায়াম করা, ঘুরতে বের হওয়া ইত্যাদি।
  12. ডু নট ডিস্টার্ব মুড চালু করুন: প্রায় সব ফোনেই ডু নট ডিস্টার্ব মোড রয়েছে। যেই মুডের মাধ্যমে বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৯ টা এবং মধ্যরাতের পর কল ও এলার্ম গুলো বন্ধ করে রাখা যায়। মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে এটিই ছিলো সর্বশেষ উপায়।
  13. মোবাইল ফোনের নোটিফিকেশন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: মোবাইল ফোনের অ্যাপের অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন গুলো অফ রাখুন। যাতে কোন নোটিফিকেশন আসলে আপনি বুঝতে না পারেন এবং ফোন হাতে নিতে না পারেন।
  14. সময় নির্ধারণ করে রাখুন: মোবাইল ফোনের জন্য অ্যাপের ক্ষেত্রে এমন একটা সময় নির্ধারণ করুন এবং ওই সময়ের বেশি সময় ধরে ফোন টিপবেন না।
  15. মোবাইল ফোন রাখার নিয়ম: ঘুমাতে যাওয়ার সময় অনেকেই বিছানায় হাতের কাছে মোবাইল রেখে দেয়। এই অভ্যাসটি অবশ্যই পরিবর্তন করবেন। ঘুমানোর সময় বিছানা থেকে ফোন অনেক দূরে রাখবেন এবং ফোনে ভাইব্রেশন বা সাইলেন্ট করে রাখবেন।
  16. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপ গুলো লুকানো: যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর ব্যবহার করেন. যেমন - facebook, tiktok, instagram, email ইত্যাদি অ্যাপ গুলো লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। যারা ফেসবুক অ্যাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন না। তারা এই অ্যাপটি লুকিয়ে রাখুন। এজন্য আপনি আপনার ফোনের স্কিন থেকে অ্যাপ অন্য ফোল্ডারে লক করে রাখতে পারেন।

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

ছাত্রজীবনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় অনেক প্রভাব ফেলে। প্রতিটি জিনিসের ক্ষেত্রেই খারাপ এবং ভালো দুইটি দিকই রয়েছে। একই ভাবে মোবাইলে যে রকম কিছু ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। এখন আমরা জানবো ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে -
  • ছাত্র জীবনে যদি আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়।
  • ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে খেলাধুলা, বন্ধুবান্ধব এবং ফ্যামিলির সাথে বিভিন্ন ধরনের কাজের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এবং ভিডিও দেখে সময় কাটায়। যাতে লেখাপড়া করার আর সময় পায়না।
  • ছাত্র জীবনে কেউ যদি অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করে, তাহলে চোখে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • মোবাইল ফোনের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা এবং সমাজ নষ্ট হচ্ছে।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে।

লেখকের শেষ কথা | মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

GAZI MAX IT এর পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রিয় পাঠকবৃন্দ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় এবং ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আর্টিকেলটির মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন।

এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে হয়তো আপনি আপনার অজানা তথ্যগুলো খুঁজে পেয়েছেন। এ আর্টিকেলটিতে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে ক্ষমার নজরে দেখবেন। মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত বা তথ্য থাকলে কমেন্ট বক্সে 👇 জানিয়ে দিবেন।


Comments

Popular posts from this blog

সুন্দরবন হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন -২০২৪

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অনলাইনে টিকিট কাটা - ভ্রমণ করার সকল নিয়ম

মুক্তা চাষ কিভাবে করবেন এবং মুক্তা চাষের জন্য কোথা থেকে প্রশিক্ষণ নিবেন