পোস্ট সূচিপত্রঃ
গুগল প্লে স্টোর থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়? সে সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। নিজের ব্যক্তিগতভাবে ইনকাম থাকা প্রত্যেকটি মানুষেরই প্রয়োজন আছে। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা সম্পর্কে আপনারও যদি কোন ধারনা না থাকে, তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। গুগল প্লে স্টোর থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়? তা জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি ইনকামের কোনো একটি কৌশল কিভাবে সিলেক্ট করবেন? গুগল প্লে স্টোর থেকে কি পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব?গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনকাম করার জন্য কি কি লাগে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।তাই আমাদের এই আর্টিকেলটির সাথেই থাকুন এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
গুগল প্লে স্টোর থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়? সে সম্পর্কে আপনারও জানা উচিত। আর গুগল থেকে ইনকাম করার জন্য, ইনকামের কোনো একটি কৌশল কিভাবে সিলেক্ট করবেন? সে সম্পর্কে ধারণা রাখা দরকার। সকাল থেকে শুরু করে ঘুমিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত যেন গুগল ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। যে কোন ধরনের জানার বিষয় ক্ষেত্রেও এই গুগলের বিকল্প নেই। তেমনি ইনকাম করার সেরা উপায় হলো গুগলের মাধ্যমে ইনকাম করা। আপনি চাইলে গুগলের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পছন্দ মতো যেকোনো একটি উপায় বেছে নিয়ে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন। তাই আর দেরি কিসে, ইনকাম করা শুরু করে দিন আপনিও।
গুগল থেকে টাকা ইনকাম কেন করতে হবে
গুগল থেকে টাকা ইনকাম কেন করতে হবে বা অনলাইন ইনকাম গুলোর মধ্যে কেনইবা আপনি গুগলকেই বেছে নিবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক গুগল থেকে টাকা ইনকাম কেন করতে হবে সে সম্পর্কে -
- সাধারণত অনলাইন থেকে ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ইনকাম করলে টাকা তোলার জন্য ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট মেথড এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি যদি গুগল প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন, তাহলে গুগল থেকে আপনার আয় করা টাকা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
- আপনি চাইলে খুব স্বল্প খরচে গুগল থেকে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন। এছাড়াও কোন প্রকার খরচ ছাড়া একদম ফ্রিতেও ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
- অনলাইন জগতে টাকা ইনকাম করার যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় এবং সবচেয়ে লাভজনক হলো google.
আরও পড়ুনঃ মাসে ৩০০০০ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
- গুগলে এমন একটি সাইট, যা বিশ্বের সেরা Search engine .গড়ে দৈনিক গুগলে ৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি সার্চ করা হয়ে থাকে। আর এজন্যই গুগল থেকে খুব সহজে ইনকাম করা যায় এবং খুব সহজেই আপনি ট্রাফিক পেয়ে যাবেন।
- গুগলে কাজ করার জন্য ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা একটি স্মার্টফোন থাকলেই হবে।
- গুগলে সাধারণত স্টুডেন্টরাও পার্ট টাইম কাজ করতে পারবে।
গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনকাম করার জন্য কি কি লাগে
গুগল থেকে ইনকাম করার আগে আপনি প্রথমেই ইনকামের কোনো একটি কৌশল কিভাবে সিলেক্ট করবেন? বা কোন বিষয়ে ইনকাম করবেন সেটি আগে সিলেক্ট করে নিতে হবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়? বা আপনি যদি গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার প্রথমেই উচিত একটি হাই কোয়ালিটির অ্যাপ তৈরি করা। আর আপনি যদি এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ জানেন,
তাহলে নিজেই একটি অ্যাপ তৈরি করে নিতে পারবেন। আর আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে না জানেন, তাহলে এতেও চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি একজন অ্যাপ ডেভলপার এর থেকে একটি অ্যাপ বা গেমস তৈরি নিতে পারবেন। এছাড়াও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি কোন রকম অভিজ্ঞতা ছাড়া এবং কোডিং এর কাজ ছাড়া একটি অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন। অ্যাপ তৈরি করার কিছু ওয়েবসাইট-
আরও পড়ুনঃ ঘরে বসে আর্নিং করার সেরা পনেরো উপায়
- appsgeyser.com
- appypie.com
- apphive.oi
- quickappninja.com
এগুলো ছাড়াও এরকম ওয়েবসাইট অনেক রয়েছে।
আপনার অ্যাপটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর Google Play Developer Console - এ গিয়ে আপনার নিজের অ্যাপ আপলোড করতে হবে। গুগল প্লে টিম আপনার অ্যাপটি চেক করবে এবং আপনার অ্যাপটি যদি সঠিক হয়, তাহলে তারা এপ্রুভ করে দিবে। আপনার অ্যাপটি এপ্রুভ করার পরে তারা গুগল প্লে স্টোর এর মধ্যে পাবলিস্ট করে দিবে এবং আপনার একটিভ ইউজাররা ডাউনলোড করতে পারবে।
গুগল প্লে স্টোর থেকে কি পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব
গুগল প্লে স্টোর থেকে কি পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব? তা জানতে আর্টিকেলটির সাথে থাকুন। গুগল প্লে স্টোর এ অনেক ধরনের অ্যাপ আছে, যা ফ্রিতে ডাউনলোড করা যায়। আর যেই অ্যাপগুলো ফ্রিতে ডাউনলোড করা যায়, তা থেকে কোন রকম ইনকাম হয় না। পেলে স্টোর থেকে আপনি কি পরিমানে ইনকাম করবেন তা নির্ভর করে আপনার একটিভ ইউজারদের উপর। একটিভ ইউজার বলতে আপনার অ্যাপ কতজন লোকের ব্যবহার করতেছে সেটা বুঝানো হয়।
কোন app থেকে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে মনিটাইজেশন কৌশল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি গুগল প্লে স্টোরে থেকে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা আলাদা আলাদা বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তাই আমরা একটি সাধারন আন্দাজ ধারণার মাধ্যমে প্রতিটি অ্যাপ ডাউনলোড করায় কত টাকা ইনকাম হবে তা জানবো। একটি অ্যাপ যদি দৈনিক ব্যবহার করা হয়, সেক্ষেত্রে এভারেজে $0.002 - $0.003 টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
আর এরকম যদি ১০০ টি অ্যাপ দৈনিক ব্যবহার করা হয়, তাহলে প্রায় $2 থেকে $3 টাকা আয় করা সম্ভব। আপনার অ্যাপগুলো যত ট্র্যাফিকরা ব্যবহার করবে, আপনার ইনকামও তত বেশি বেড়ে যাবে। আর কিছু কিছু ইনকাম নির্ভর করে আপনার অ্যাপের ক্যাটাগরি, বিষয়বস্তু, কোন জায়গা থেকে ইউজার আসছে, কত সময় ভিউ হচ্ছে বা কত সময় ইউজাররা আপনার অ্যাপটি ব্যবহার করছে এর উপরে।
গুগল প্লে স্টোর থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
যদি আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনার কাছে একটি অ্যাপ থাকা প্রয়োজন। আর সেই অ্যাপ গুলো প্লে স্টোরে পাবলিশ করার মাধ্যমে এড রিভিনিউ, ইন অ্যাপ পারচেজ, সাবস্ক্রিপশন, স্পন্সরশীপ এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনাকে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনকাম করতে হলে আগেই আপনাকে একটি অ্যাপ তৈরি করতে হবে
এবং সেই অ্যাপটি গুগলে পাবলিশ করার মাধ্যমে প্লে স্টোর থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপটি মানুষ যত বেশি ডাউনলোড / ইন্সটল করবে, আপনারও তত বেশি আরনিং হবে। জেনে নেয়া যাক গুগল প্লে স্টোর থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে -
- অ্যাপ বা গেম ডেভেলপ করেঃ এই উপায়ে ইনকাম করার জন্য সবার প্রথমেই আপনাকে এমন একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে হবে, যা যে কোন ইউজারদের কাজে লাগতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে একটি মজার গেমও তৈরি করতে পারেন।
- গুগল প্লে কনসোল একাউন্টঃ কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে গুগল সার্চ কনসোলে একটি একাউন্ট খুলে নিতে হবে। আর এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে ওয়ান টাইম রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে $ 25 টাকা। আর এই পেমেন্ট বার বার দিতে হয় না, শুধু মাত্র একবার দিলেই হয়।
- অ্যাপ পাবলিশ করাঃ আপনার তৈরি কৃত অ্যাপটি প্লে স্টোরে পাবলিশ করার আগে গুগল প্লে কনসলে পাবলিশ করতে হবে। অ্যাপ পাবলিশের সময় অ্যাপ এর সাথে জড়িত তথ্যগুলো, অ্যাপের স্ক্রিনশট, অ্যাপের কিওয়ার্ড ইত্যাদি সঠিকভাবে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
- সার্চের অপটিমাইজেশনঃ অ্যাপটি যখন আপনি পাবলিশ করবেন, তখন অ্যাপ সম্পর্কিত কিওয়ার্ড, বাক্য, শব্দ এগুলো ডেসক্রিপশন এর টাইটেল এর মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। এতে আপনার একটি গুগল প্লে স্টোর এর খরচ রেজাল্টে দেখা যাবে।
- অ্যাপের প্রচার করাঃ আপনি শুধু অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে পাবলিস্ট করলেই হবে না। অ্যাপটিকে জন্য আগে প্রচার করে অ্যাপের এবং ডাউনলোড সংখ্যা বাড়াতে হবে। এর জন্য আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাপটি প্রচার করতে পারেন। যেমন- ফেসবুক, instagram, tiktok, ফেসবুক পেজ ইত্যাদি।
- অ্যাপের পারফরম্যান্স ট্রাকঃ গুগল প্লে স্টোর থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়? তার একটি অন্যতম কৌশল হলো অ্যাপের পারফরম্যান্স ট্রাক করা। আপনি গুগল প্লে কনসল একাউন্টে প্রবেশ করার মাধ্যমে আপনার অ্যাপটির ডাউনলোডের পরিমাণ কেমন, অ্যাপ থেকে কেমন ইনকাম হচ্ছে, অ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যস্ততা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ট্রাক করতে পারবেন।
- পেমেন্ট গ্রহণঃ পেমেন্ট গ্রহণ করা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনার প্রতি মাসের ইনকাম গুগল নিজেই সরাসরি আপনার দেয়া একাউন্টের মধ্যে ডিপোজিট করে দিবে।
ইনকামের কোনো একটি কৌশল কিভাবে সিলেক্ট করবেন
ইনকাম করার আগে তার একটি কৌশল আপনাকে অবশ্যই সিলেক্ট করতে হবে। তাই আপনি কোন কৌশলকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করবেন, সে সাইটটি আগে সিলেক্ট করে নিন। একটি মোবাইল দিয়ে আপনি বিভিন্ন সিস্টেমে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন- অ্যাপের মাধ্যমে, গেম অ্যাপ তৈরি করার মাধ্যমে। চলুন জেনে নেয়া যাক ইনকামের কোনো একটি কৌশল কিভাবে সিলেক্ট করবেন সে সম্পর্কে -
- বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে: আপনি নিজে একটি অ্যাপ তৈরি করে এর মধ্যে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে জামেলা মুক্ত হয়ে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
- সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে: অ্যাপের প্রিমিয়াম কনটেন্ট এক্সেস করার মাধ্যমে একটি মন্থলি ফি চার্জ করতে পারবেন।
- পেইড অ্যাপ এর মাধ্যমে: কেউ যদি আপনার অ্যাপটি ডাউনলোড করতে চায়, তাহলে ওয়ান টাইম পেমেন্ট করা লাগবে।
- ই অ্যাপ পারচেজ করে: অ্যাপ এর মধ্য থেকে নানা ধরনের বিষয় বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন- ডিজিটাল কনটেন্ট, গোল্ড, টিকার, ফিচার বিক্রি করার মাধ্যমে।
লেখকের শেষ কথা | গুগল প্লে স্টোর থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
GAZI MAX IT এর পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রিয় পাঠকবৃন্দ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন গুগল প্লে স্টোর থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় ও ইনকামের কোনো একটি কৌশল কিভাবে সিলেক্ট করবেন সে সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আর্টিকেলটির মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন।
এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে হয়তো আপনি আপনার অজানা তথ্যগুলো খুঁজে পেয়েছেন। এ আর্টিকেলটিতে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে ক্ষমার নজরে দেখবেন। এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত বা তথ্য থাকলে কমেন্ট বক্সে 👇 জানিয়ে দিবেন।
Comments
Post a Comment